আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: দুদিন আগে বাবা মার সাথে গাছের নিচে ত্রিপলের ঝুপড়িতে বাস করা দুস্থ অসহায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মহুয়া চৌধুরীর খবর পরিবেশন করেছিলাম আমরা। সেই খবর ছড়িয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখান থেকে রীতিমতো ভাইরাল হয়। বুধবার ‘আপনজন’-এ খবর দেখে পরিবারটিকে একটি চালাঘর নির্মাণ করে দিতে এগিয়ে এলেন নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। তিনি পরিবারটিকে ঘর তৈরি করতে নগদ অর্থ সাহায্য করলেন। এমন কাজের প্রশংসা করে প্রতিবেশী বদরুদ্দোজা মন্ডল জানিয়েছেন, তার ওই কাজে আবারও সমাজে মানবিকতার ছবি ফুটে উঠছে। তিনি বড় মনের মানুষ। পরিচয় গোপন রেখে দান করা উত্তম দান। এমন মানুষ যুগযুগ বেঁচে থাকুক। জানা গেছে, বুধবার সন্ধায় আচমকা একটি বাইকে করে হাজির হন ওই ব্যক্তি। মুখ রুমাল ও মাথা হেলমেটে ঢাকা। ছবি তুলতেই করজোড়ে আবেদন তিনি এই দানের প্রচার চাননা। খবর করার কথা বলতেই অনুরোধ করলেন তার পরিচয় গোপন রাখতে হবে। মহুয়া মা রেখা বেগম বলেন, আমরা পঞ্চাশ হাজার টাকা পেয়েছি। কাল থেকেই পিলার ও অ্যাডভেস্টার দিয়ে কাল থেকেই চালা তৈরী শুরু করবো।
গৃহকর্তা মান্নান চৌধুরী বলেন, উনি বড় মনের মানুষ তাই নিজের পরিচয় গোপন রাখছেন। তবে উপরওয়ালা দেখছেন।তিনি ওনার আপদ বিপদ রক্ষা করবেন। গ্রামবাসী সহানাজ মন্ডল বলেন, খবর পেলাম উনি এসে মান্নান চৌধুরীর বাড়ির চারিদিক ঘুরে দেখে ত্রিপলের ঝুপড়িতে ঢুকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছেন। তার দাবি এমন কাজেই প্রমাণিত হল এখনও সমাজে দুখী দরিদ্র দুস্থদের আর্তনাদ শুনলে মানুষের হৃদয়ে নাড়া দেয়। দুইদিন আগের নিদারুণ দুঃখ ও যন্ত্রনাকে এক নিমেষে মুছে দিয়ে খুশিতে ভরিয়ে দিলেন ওই মহান ব্যাক্তি। আমরা এলাকার মানুষ তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তির আসায় বুধবার সন্ধা স্মরণীয় হয়ে রইল মহুয়ার বাবা মান্নান চৌধুরী ও রেখা বেগমের জীবনে। তিনি পাশে দাঁড়াতেই চার বছরের যন্ত্রনা এক নিমেষেই বিলিন হয়ে গেল ত্রিপলের ঝুপড়ি থেকে। ফলে আবারও নতুন করে বাঁচার আশা দেখছেন মহুয়া ও তার বাবা মা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct