এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: অবশেষে সাতটি তরতাজা দেহ এসে পৌঁছালো বসিরহাটের নেহালপুর। রাজ্যের বনমন্ত্রী জোতিপ্রিয় মল্লিক এদিন ঘটনা স্থলে এসে মৃত সাত পরিবারের হাতে দুই লক্ষ টাকা করে চেক। গতকাল ভোরে ওড়িষার ধর্মশালা থানার চন্ডিপুর এলাকায় উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের মাটিয়া থানার ধান্যকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নেহালপুরের সর্দার পাড়ার ব্যবসায়ী সহ সাতজন পোল্ট্রি শ্রমিকের উড়িষ্যায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে পড়েছে নেহালপুরের সরদার পাড়ায়। কেউ স্বামী হারা আবার কেউ সন্তান হারিয়ে অসহায় হয়ে গেছে পরিবার। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি ছিল সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য পাশাপাশি মৃতদেহ আনার। সেই দাবি মতো মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতদেহ নিয়ে আসার দায়িত্ব দেন জোতিপ্রিয় মল্লিক কে। স্বাস্থ্য দপ্তরের চারটে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওড়িষা থেকে কোলাঘাট বিরাটি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের তদারকিতে সেই মৃতদেহ এসে গ্রামে পৌঁছায়। রাজ্য সরকার মৃতদের প্রতিটি পরিবারে হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পাশাপাশি আগামী দিনে সব রকম সাহায্য করার জন্য পরিবারের পাশে থাকবেন বলে এমনটাই জানান। সকাল থেকে সজন হারানো কান্না শোকের ছায়া চোখে মুখে হতাশা গ্রাস করেছে নেহালপুরের সরদার পাড়া গ্রামের মানুষদের। এদিন মৃতের পরিবারের হাতে চেক তুলে দিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, পোল্ট্রি কোম্পানি এর দায় এড়াতে পারে না। মুরগির বাচ্চা আনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে অর্থ মুনাফা অর্জন করার জন্য। তার জন্য নিরীহ ৭ টি প্রাণ চলে যাবে এটা হতে পারে না। জেলা পুলিশকে বলেছি এর তদন্ত হওয়া উচিত। এদিন তদারোকিতে ছিলেন জেলা বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ। দুই দিন ধরে এই অসহায় পরিবারের পাশে ছিলেন বসিরহাট উত্তর বিধানসভার চেয়ারম্যান এটিএম আব্দুল্লাহ রনি, তিনি বলেন, আমার এই গ্রাম থেকে প্রথম জয় লাভ করি।আমি পরিবার পিছু আমার তরফ থেকে নগদ দশ হাজার টাকা,এক কুইন্টাল চাল দেওয়া হয়েছে।আমরা এই ঘটনা মেনে নিতে পারছিনা। বারবার এই ঘটনা আমাদের আর ভালো লাগছে না। এই কাজে গিয়ে এই এলাকার বহু মানুষের প্রান চলে গিয়েছে। আমি মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি আর যেন পুনরায় না হয়। সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন, জেলা তৃণমূল সাংগঠনিক সভাপতি সরোজ ব্যানার্জি, চেয়ারম্যান হাজী নুরুল ইসলাম, উত্তর বিধানসভার বিধায়ক রফিকুল ইসলাম, বসিরহাট -২ ব্লক সভাপতি মিহির ঘোষ এবং এলাকার বিভিন্ন বিধায়ক। এদিন এ কে এম ফারহাদ বলেন, এটি একটি খুব মর্মান্তিক দৃশ্য। এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তার তত্ত্ববোধনে সাতটি তরতা জা দেহ পৌঁছেছে বসিরহাটে। আমরা তাদের পরিবারের পাশে রয়েছি রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে আশ্বাস দিয়েছেন পাশে থাকার। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক মুখ্যমন্ত্রী তিনি সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকেন এবং চিরদিন থাকবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct