আপনজন ডেস্ক: পোশাকবিধি অনুসারে মাথার চুল না ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাহশা আমিনি নামের তরুণীর মৃত্যুর পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন সে দেশের মহিলারা।এখন তারা চুল খুলে দিয়ে ইরানের হিজাব আইনের বিরোধিতা করছেন। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে মহিলাদের পোশাক নিয়ে কঠোর রক্ষণশীলতার রাষ্ট্রীয় নীতি রয়েছে। তবে ইরানের মেয়েরা নিজেদের অধিকার রক্ষায় রাস্তায় নেমে আসেন। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেন। ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লব হয়। তবে কয়েক দশকেও সেখানে ধর্মীয় নেতাদের তৈরি পোশাকনীতি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আইন অনুযায়ী ইরানের নারীদের মাথা ও চুল ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। এমন লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে, যাতে শরীরের গঠন বোঝা না যায়। তবে ইরানে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির মেয়েরা এখন ইচ্ছে করেই আঁটসাঁট পোশাক পরেন। তারা ঊরু পর্যন্ত কোট পরেন। পাশাপাশি এমন উজ্জ্বল রঙের স্কার্ফ পরেন, যাতে মাথার চুল বেরিয়ে থাকে। গত বছর মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে সেখানকার মেয়েরা তাদের চুল খুলে দিচ্ছেন এবং হিজাব আইন বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন। ইরানের এক মহিলা প্রকৌশলী জেইনাব কাজেমপুর তেহরানের একটি ইভেন্টে মঞ্চে হাঁটছেন, টাইট প্যান্ট এবং একটি শার্ট পরা এবং এক হাতে একটি মাইক্রোফোন ধরা। তার লম্বা বাদামী চুল, পনিটেলে বাঁধা, ইরানের কঠোর হিজাব আইনের প্রতিবাদে চুলও খোলা রেখেছেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct