টপি লস্কর, গঙ্গাসাগর, আপনজন: স্কুলের বেহাল দশা, ভগ্ন প্রায় অবস্থায় পড়ে রয়েছে পুরুষোত্তমপুর ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরুষোত্তমপুর মনসা সেবা সদন এসএসকে স্কুল। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও অত্যন্ত কম হাতে গোনা এক বা দুইজন। আর তাতেই দুজন শিক্ষিকাকে নিয়ে চলছে এই স্কুল। ২০০২ সালে গঙ্গাসাগরের ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরুষোত্তমপুর মানব সেবা সদন এসএসকে স্কুল চালু করা হয় শিশু শিক্ষা জন্য। প্রথমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ছাত্রছাত্রী থাকলেও পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়ায় হাতে গোনা স্কুলের খাতায় ১১ জনের নাম থাকলেও প্রত্যেকদিন স্কুলে আসে দু থেকে তিনজন ছাত্র-ছাত্রী আবার কোনদিন বা সেই সংখ্যাটা এক গিয়েও দাঁড়ায়। আর তাতেই দুজন শিক্ষিকা নিয়ে চলছে কোন রকমে এই স্কুল। অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা ঠিকঠাক মতো না হওয়ার কারণেই অভিভাবকেরা পার্শ্ববর্তী এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের ওপর ভরসা করে সেখানে সমস্ত ছেলেমেয়েদের ভর্তি করছে অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম থাকার কারণে কোনদিন মিড ডে মিল হলেও কোনদিন মিড ডে মিল হয় না। তবে ওই স্কুলের শিক্ষিকার দাবি স্কুলের এমন অনেক অভিভাবকই রয়েছে যাদের স্কুলের খাতায় নাম রয়েছে প্রত্যেক বছর তাদের সরকারি সার্টিফিকেট ও প্রদান করা হয় কিন্তু কোনদিনই সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসে না পার্শ্ববর্তী মিশনে ভর্তি হয়েছে সবাই। সরকারের পক্ষ থেকে এই যেখানটায় শিশু শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীর জন্য ঢালাও ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে সেখানে এই ভাবেই সরকারি টাকা দিনের পর দিন নয় ছয় হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। তবে বিরোধীদের দাবি স্কুলের পরিকাঠামো ঠিকঠাক না হওয়ার কারণেই ছাত্রছাত্রীরা আসছে না ওই স্কুলে অন্যদিকে বছরের পর বছর এই ভাবেই স্কুল চালিয়ে সরকারি মাইনে পাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা আর এই ভাবেই সরকারি টাকা নষ্ট হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct