সেখ মহম্মদ ইমরান, কেশপুর, আপনজন: রাজ্যে এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোটের দিন । তার আগে খানিকটা যেন মাটি খুঁড়েই বের করে আনা হল বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ড । কঙ্কাল কান্ড নিয়ে শুরু হলো রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী, বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের দলবল ও কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীগণকে ফোনে হুমকি ও সাক্ষ্য না-দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানালেন শ্যামল আচার্য। গড়বেতা বেনাচাপড়া কঙ্কালকান্ড মামলায় মূল সাক্ষী এবং অন্যতম অভিযোগকারী শ্যামল আচার্য। তিনি বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্তরা সাক্ষীদের
ফোন করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে । সাক্ষীর জায়গা থেকে সরে যেতে বলছে ।” তিনি আরো জানান, আদালত ও বিচার বিভাগের ওপর সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে। আগামী ১০ ই মার্চ থেকে কোলকাতার বিধাননগরে এম.পি, এম.এল.এ কোর্টে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শ্যামল আচার্য্য। কেশপুরের সি পি আই এম নেতা সৈয়দ নিয়ামত হোসেন হুমকি ভয় দেখানোর ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন এটি একটি নাটক। আমাদের দলের ছেলেরা এত অভদ্র নয় যে এ কাজ করবে। নিয়ামত বাবু আরো বলেন শ্যামল আচার্য সিকিউরিটি পাওয়ার জন্য এই ধরনের বক্তব্য বা অভিযোগ পেশ করেছেন। কেউ যদি সত্যি হুমকি দিত তাহলে কল রেকর্ড পাওয়া যেত। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ৪ঠা জুন গড়বেতা ও কেশপুর লাগোয়া বেনাচাপড়ার দাসের বাঁধে মাটি খুঁড়ে বের হয় নরকঙ্কাল। তৃণমূল অভিযোগ তুলেছিল, ২০০২ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর তৃলমূলের নেতা অজয় আচার্য্য সহ ৭ জন কর্মীকে মেরে পুঁতে দেয় সিপিআইএম। সেই কঙ্কালই বেরনোর ঘটনায় আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কেশপুর ব্লকের তৃণমূলের সহ সভাপতি শ্যামল আচার্য্য। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পশ্চিম মেদিনীপুর সি.পি.আই.এম এর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্ত ভার যায় সি.আই.ডি র হাতে। সেই মামলায় সুশান্ত ঘোষ সহ একাধিক সি.পি.আই.এম নেতাকে জেল খাটতে হয়েছে। কোলকাতার বিধাননগরে এম.পি, এম.এল.এ কোর্টে চার্জ গঠন হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct