মনিরুজ্জামান, দেগঙ্গা, আপনজন: সারা রাজ্যজুড়ে ২০২৩ সালের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের হাই মাদ্রাসা, আলিম,ফাজিল পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে।কোনও পরীক্ষার্থী শারীরিক কিংবা মানসিক ভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হলেই তাদের পাশে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে।উল্লেখ্য,উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের আরিজুল্লাপুর সিদ্দিকিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী তানিয়া পারভিন এবছর হাই মাদ্রাসার একজন পরীক্ষার্থী।তার পরীক্ষার সেন্টার পড়েছে ইয়াজপুর হাই মাদ্রাসায়। শনিবার সকালে পরীক্ষার সেন্টার যাওয়ার আগে বাড়িতে বসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।সেইসময় তার পায়ে সাপে কামড়ায়।কালবিলম্ব না করে সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবার তাকে বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। ঘটনাচক্রে এদিন আরিজুল্লাপুর সিদ্দিকিয়া হাই মাদ্রাসা, ইয়াজপুর হাই মাদ্রাসা এবং পূর্ব চ্যাংদানা কাদেরিয়া হাই মাদ্রাসা পরিদর্শনে যায় মাদ্রাসা বোর্ডের সদস্য এ কে এম ফারহাদের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল। তৎক্ষণাৎ তানিয়ার চিকিৎসা ঠিকভাবে করার জন্য তার বাবা মতিয়ার রহমানের সঙ্গে আলোচনা এবং উভয় মাদ্রাসার প্রধানদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে মেয়েটির চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে প্রতিনিধি দল। হাসপাতালে বসেই এদিন পরীক্ষা দিয়েছে তানিয়া।
হাসপাতালে পৌঁছান দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মন্ডল,মাদ্রাসা বোর্ডের সদস্য তথা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্হায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি।বিধায়ক রহিমা মন্ডল বলেন,এইরকম একটি ঘটনার কথা শুনেই আমরা হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা,পরীক্ষার ব্যবস্হা করেছি। মাদ্রাসা বোর্ডের অন্যতম সদস্য তথা কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন, পরীক্ষা ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনা করা তাঁদের দায়িত্ব। সেই কাজ করার জন্য প্রতিনিধি দল দেগঙ্গার বিভিন্ন মাদ্রাসা পরিদর্শনে যায়। একজন ছাত্রী অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার বন্দোবস্ত ও পরীক্ষার ব্যবস্থা ঠিকভাবে করা সহ সব রকমের প্রক্রিয়া করা হয়ে থাকে।পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি মেয়েটির সুস্থতা কামনা করে পরবর্তী পরীক্ষাগুলো যাতে ভালো ভাবে দিতে পারে তারজন্য শুভকামনা করেন।ছাত্রীটির বাবা মতিউর রহমানের কথায় যেভাবে বিধায়ক রহিমা মন্ডল,একেএম ফারহাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল, শিক্ষক মহাশয়, পুলিশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। উল্লেখ্য, মাদ্রাসা বোর্ডের পরিদর্শক দলে ডি এল এ সি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন কুতুব আক্তার, সওকাত হোসেন পিয়াদা, প্রমুখ।পরে একেএম ফারহাদ বলেন, তানিয়া পারভিন নামের ওই পরীক্ষার্থী এদিন ভালোভাবেই পরীক্ষা দিয়েছে এবং সুস্হ আছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct