নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: বিরোধীদের দাবিকে ফের মান্যতা দিয়ে উপনির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে সাগরদিঘি থানার ওসি অভিজিৎ সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। আজ শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মাধ্যমে রাজ্য প্রশাসনকে ওই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এদিন রাত নয়টার মধ্যেই নতুন ওসির নাম চূড়ান্ত করে তাঁর হাতে দায়িত্ব সঁপে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, মুর্শিদাবাদে কর্মরত কোনও পুলিশ অফিসারকে সাগরদিঘির নতুন ওসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে উল্লাসে মেতে উঠেছে কংগ্রেস-বিজেপি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন। তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার অকালপ্রয়াণের কারণেই অকাল নির্বাচন হচ্ছে। মূলত এবারের ভোটে ত্রিমুখী লড়াই। মূল লড়াই শাসকদলের সঙ্গে কংগ্রেস বাম জোটের। তবে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে বিজেপিও। অবাধ নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও সাগরদিঘি থানার ওসি অভিজিৎ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে ভোটের কোনও দায়িত্বে না রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস ও বিজেপি।সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সন্ধেবেলায় সাগরদিঘি থানার ওসিকে বদলের নির্দেশ দেয় দিল্লির নির্বাচন সদন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সাগরদিঘি থানার বর্তমান ওসি অভিজিৎ সরকারকে শুধু সরালেই হবে না। তাঁকে ভোটের কোনও কাজে যুক্ত রাখা যাবে না। আপাতত তিনি থাকবেন পুলিশ সদর দফতরে। তাঁর জায়গায় জেলার বাইরের নতুন কোনও অফিসারকে নিয়োগ করতে হবে। উল্লেখ্য, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রায়শই প্রশাসনিক কর্তাদের বদল করে থাকে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে যেসব প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠে তাদেরকেই সাধারণ বদলি করে থাকে। যদিও রাজ্য সরকার ভোটের পরেই ফের ফিরিয়ে আনে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct