মহামেডান-৬(কেন লুইস,দাউদা,ফাইয়াজ,নিকোলা)।
শ্রীনিধি ডেকান-৪(হাসান,মুনোজু,ওগানা,গ্যাব্রিয়েল)।
মোস্তাফিজুর রহমান, কলকাতা, আপনজন: খেলোয়াড় হিসাবে নিজের ছাপ রেখে গিয়েছিলেন কলকাতায়।এবার কোচ হিসাবে একেবারে বিপক্ষের উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু! এক দুটো নয়,লিগের ফার্স্ট বয় শ্রীনিধি’কে হাফ ডজন গোলের মালা পরালেন মেহরাজ এর মহামেডান স্পোর্টিং। ম্যাচের ২ মিনিটে কেন লুইসের গোলে(১-০) সেই যে বন্যা শুরু হল,থামলো একেবারে ইনজুরি টাইমে। গোল বন্যা বললাম কারন ম্যাচটা একদম একপেশে হয়নি।বিপক্ষও চারটি গোল করেছে। যদিও ম্যাচে সারাক্ষণই মেহরাজ এর ছেলেরাই রাজ করেছেন। কেন লুইসের গোল এক মিনিটের মধ্যে পরিশোধ করেন শ্রীনিধির হাসান (১-১)। যদিও ২১ মিনিটে আবারও মহামেডানকে লিড এনে দেন দাউদা।বস্তুত এটাই ম্যাচের সেরা গোল।বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে যে গোলটি করেন,সেটা একপ্রকার বিশ্বমানের(২-১)। ম্যাচের ২৮ মিনিটে আবার সমতা ফেরায় শ্রীনিধি ডেকান। নিজেদের বক্সে অযাচিত ফাউল করেন সাইরুত কিমা।পেনাল্টি কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি ডেভিড মুনোজ (২-২)। এক মিনিট পরে মহামেডানকে আবার এগিয়ে দেন সেই দাউদা (৩-২)। ৪৮ মিনিটে ফাইয়াজের (৪-২),৬৭ মিনিটে কেন লুইস নিজের দ্বিতীয় দলের পঞ্চম গোলটি করেন (৫-২)।৭৯ মিনিটে ওগানা গোল করে (৫-৩)করলে,পরের মিনিটে হাফ ডজন পূর্ন করেন নিকোলা (৬-৩)। ম্যাচের ৯০+৪ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল আরও একটি গোল শোধ করলেও (৬-৪),তা কোনো কাজে আসেনি। তবে লজ্জা বাড়তো ইনজুরি টাইমে দাউদার শট পোস্টে লেগে না ফিরলে! মহামেডানের নতুন কমিটি,নতুন কোচের শুরুটা যে শুভ হল তা বলাই যায়।তবে ডিফেন্সের রোগ সারাতে না পারলে ভুগতে হবে ভবিষ্যতে। কেননা প্রতিদিন আর হাফ ডজন গোল হবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct