জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া, আপনজন: নিজের বাল্য বিবাহ আটকে রোল মডেল হিসাবে ওই সময় রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের হাত থেকে সম্মান পেয়েছিলেন। ঘটনা পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের সেরেংডি অঞ্চলের ভুরশু গ্রামের বীণা কালিন্দী। বুধবার, বীণা কালিন্দী জানান, স্নাতকের পাট শেষ করে আমি এখন সংসারী। এক সন্তানের মা। কিন্তু বর্তমানে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। স্বামী পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ডের একটি হোটেলে কাজ করেন। তার সামান্য আয়ই একমাত্র ভরসা। এই অবস্থায় সংবাদ মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়ে সামান্য স্থায়ী কাজ ও পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চান তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও জানান,প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় আমার বয়স ১২ কি ১৩ বৎসর, ঠিক সেই সময় বিয়ে ঠিক করেছিল বাড়ির লোকজন। স্কুলের শিক্ষকে জানিয়ে উনার সাহায্য শ্রম দপ্তরের উদ্যোগে বিয়ে বনধ হয়। তখন অনেকেই জানিয়েছিলেন ভবিষ্যতে পাশে থাকবেন। স্নাতক পর্যন্ত পড়েছি। সন্তানকে মানুষ করার পাশাপাশি নিজেও পড়াশুনা করতে চাই এখন।তার জন্য একটা স্থায়ী কাজের বড় প্রয়োজন। ওই সময় অনেকেই আশ্বাস দিলেও এখন পাশে কাউকে পাচ্ছি না। এবিষয়ে ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসনের কাজে আর্জি জানিয়েও কোন সাড়া মেলেনি। প্রতিবেশী শিবানী রজক বলেন, প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যদি বীণা কালিন্দীকে কোন একটা কাজের ব্যাবস্থা করে দেন তাহলে আমাদের এই পাড়ায় কেনো জেলা জুড়ে তার যে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের বার্তা তা পৌঁছাতে পারবে। এবিষয়ে বাঘমুন্ডি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেবরাজ ঘোষ জানান, বীণার কষ্টের কথা শুনেছি। সে একবার দেখা করুক তার পর কিছু ব্যাবস্থা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এখন প্রশ্ন একটাই কবে মিটবে রোল মডেল বীণা কালিন্দীর কষ্টের দিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct