আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষার কর্মাধক্ষ্যা হয়েও নিজে ক্ষেতে দিনমজুর খাটেন রূপালী হাঁসদা। সমিতির কাজ কর্মের সাথে সাথে বাড়ির কাজকর্ম সবই করতে হয় তাকে। এমনকি ক্ষেতে দিনমজুরের কাজ করে সংসারকে সাপোট দিতে হয় রূপালী হাঁসদাকে। তার এমন কাজের প্রশংসা করেছেন খন্ডঘোষ বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ। তিনি বলেন, ওটা আমারই বিধানসভা এলাকা। আমাদের দলের সুপ্রীম মমতা ব্যানার্জ্জীর নীতি আদর্শ এই রকমই। সকল পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতেই রুপালী হাঁসদার মতন বহু সদস্য সদস্যা আছেন। তাছাড়াও আমাদের দলে বহু ওইরকম কর্মী আছেন। তারাও সততার সাথেই রাজনীতিটা করেন। তার দাবী, রাজনীতি করা মানে আসলে সমাজের কাজ করা। সেখান থেকে কিছু আয় হয়না। তাই সংসার চালাতে সবাইকে কিছুনা কিছু করে উপার্জন করতে হয়। এমনকি পরের ক্ষেতে দিনমজুরও খাটতে হয়। এমন কর্মীরাই আমাদের দলের সম্পদ। এদিকে রূপালী হাঁসদা জানিয়েছেন, তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। সংসার চালানোর খরচ যোগাতে হিমসিম খেয়ে যান তার স্বামী কালিচরন হেমরম। স্বামী ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। তাই তাকেও উপার্জন করতে দিনমজুর খাটতে হয়। তার দাবী, সাটিনন্দী গ্রামে নিজেদের চাষের জমি জায়গা কিছুই নেই। একটু বসত ভিটে থাকলেও সেখানে পাকা বাড়িও নেই। বিয়ের আগে থেকেই তিনি ক্ষেত মজুরের কাজ করতেন। সংসারে সপোট দিতে প্রতি বছরই দুতিন বিঘা ভাগে চাষ করেন। শ্রমিকের খরচ বাঁচাতে তিনিও মাঠে রোপন, নিরেন ও ধান কাটা সব কাজ করেন। সেটার পর পরের ক্ষেতে দিনমজুর খাটেন। তিনি আরও বলেন, বাড়িতে অসুস্থ শ্বাশুড়ি আছে। স্বামীর উপার্জনের টাকা থেকে সংসারের সাথে ছেলের পড়াশোনা ও চিকিৎসার খরচ যোগাতে হয়। ঘরে জলটা ছাড়া সবকিছুই কেনা। এদিকে মাটির বাড়িটা পাকা করতে হবে। সেইজন্য দিতরাত তাদের মেহনত করতে হয়। এলাকার বাসিন্দা চাঁদ রায়, বলেন, রাজনীতি করা মানেই যে সবাই টাকা ইনকাম করতে চান এমনটা নয়। গলসি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রূপালী হাঁসদা তারই একটা উদাহরণ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct