আপনজন ডেস্ক: ‘বয়স কেবলমাত্র একটা সংখ্যা’—‘ক্লিশে’এই কথাটাকেই যেন নতুন করে প্রাণ দিচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। নইলে এই বয়সেও কী ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বোলার হওয়া যায়! নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে গোলাপি বলের টেস্টে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। যার প্রভাব পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে। আইসিসির এই সংস্করণের বোলারদের তালিকায় শীর্ষে ফিরেছেন ৪০ বছর ২০৭ দিন বয়সী ইংলিশ পেসার। টেস্ট ক্রিকেট ৪০ বছর বয়সী কোনো বোলারকে সর্বশেষ ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠতে দেখেছে সেই ১৯৩৬ সালে। আইসিসির ‘ঐতিহাসিক’ র্যাঙ্কিং বলছে অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার ক্ল্যারি গ্রিমেট ১৯৩৬ সালে ৪৪ বছর ২ মাস বয়সে এক নম্বর হয়েছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি বয়সী এক নম্বরদের তালিকায় গ্রিমেট এক নম্বর নন।
১৯৩৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার বার্ট আয়রনমঙ্গার এক নম্বর হয়েছিলেন ৫০ বছর ১০ মাস বয়সে। সব মিলিয়ে বেশি বয়সে এক নম্বর হওয়ার রেকর্ডে জেমস অ্যান্ডারসন আছেন পাঁচ নম্বরে। ৪০ পেরিয়ে এক নম্বর হওয়া অন্য দুজন ‘টিক’ ফ্রিম্যান (৪১ বছর ২ মাস) ও সিডনি বার্নস (৪০ বছর ৯ মাস)। নিউজিল্যান্ডে ১৫ বছর পর ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচ জয়ে বড় অবদান রেখেছেন অ্যান্ডারসন। ওই ম্যাচে দুই ইনিংসে মোট ৭ উইকেট নেন তিনি। এতে ব়্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন তিনি দুই ধাপ। অ্যান্ডারসনের শীর্ষে ওঠার দিনে দুই ধাপ অবনমন হয়ে তিন নম্বরে চলে গেছেন প্যাট কামিন্স। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে পারফর্ম করতে না পারায় অবনমন হয়েছে কামিন্সের। নাগপুরে প্রথম টেস্টে একমাত্র ইনিংসে ২০.৩ ওভার করে ২ উইকেট নেন কামিন্স। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩ ওভার করে ১ উইকেট নেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি একটি বলও করেননি । টানা ১৪৬৬ দিন শীর্ষে থাকার পর এক নম্বর স্থান হারালেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। তবে অ্যান্ডারসনের এই শীর্ষস্থান তাঁর জন্য ধরে রাখা কঠিন হতে যাচ্ছে। কারণ দুই নম্বরে আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতের এই স্পিনারের রেটিং পয়েন্ট ৮৬৪, যা অ্যান্ডারসনের চেয়ে মাত্র ২ কম। বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে অশ্বিনের স্পিনের জবাব নেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানের কাছে। প্রথম দুই টেস্টে উইকেট নিয়েছেন ১৪টি। এই সিরিজের এখনো দুটি টেস্ট বাকি। যেখানে পারফর্ম করে শীর্ষে ওঠার সুযোগ আছে অশ্বিনের সামনে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct