আপনজন ডেস্ক: মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে রাহুল ও অভিষেকের বাকযুদ্ধ চরমে উঠল। কিংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ও তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই এক অপরকে বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে তাদের দল বলে অভিযোগ করলেন। সেই সঙ্গে উভয় দলই বিজেপি এবং তার রাজ্য সহযোগী এনপিপিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে ভাবছে। বুধবার শিলংয়ে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আপনারাও তৃণমূল কংগ্রেসের ইতিহাস জানেন, বাংলায় যে সহিংসতা হচ্ছে, তা আপনারাও জানেন। জানেন সারদা কেলেঙ্কারি ঘটেছিল। আপনারা তাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে অবগত আছেন। তারা গোয়ায় এসেছিল এবং প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিজেপিকে সাহায্য করা। মেঘালয়ের ক্ষেত্রে একই বিষয়। মেঘালয়ে টিএমসি-র ভাবনা হল বিজেপিকে শক্তিশালী করা ও তারা যাতে ক্ষমতায় আসে তা নিশ্চিত করা। প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাহুলের আক্রমণ কিছুটা বিরল। স্পষ্টতই, রাহুলের মন্তব্যের লক্ষ্য হওয়ে ওঠা তৃণমূলকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করবে। তার কাঙ্ক্ষিত প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে।
কেরলের ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধির প্রকাশ্যে মন্তব্যের কয়েক ঘন্টা পরে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেস নেতার রাহুল গান্ধিকে পাল্টা আক্রমণ করেন। রাহুল বলেন, কংগ্রেস বিজেপিকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অপ্রাসঙ্গিকতা ও অযোগ্যতা ইতিমধ্যেই তারেকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। অভিষেক বলেন, আমি রাহুল গান্ধিকে আমাদের আক্রমণ না করে তাদের অহংকার রাজনীতি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্থ দ্বারা চালিত হয় না, এটি জনগণের ভালবাসা যা আমাদের চালিত করে। একই যুক্তিতে ২০২১ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস যখন বাংলায় ৯২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, তখন বিজেপিকে সাহায্য করার চিন্তা কি তাদের ছিল? সেই প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। অভিষেকের কটাক্ষ, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধির বক্তব্য এমন একটি দল থেকে এসেছে, যারা দেশের মধ্যে গত ৪৫টি বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে ৪০টিতে হেরেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct