আপনজন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক হিন্দু পরিষদ এবং রাষ্ট্রীয় বজরং দলের আন্তর্জাতিক সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া এখন ছত্তিশগড় সফরে। ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের এক জনসভায় প্রবীণ তোগাড়িয়া সাফ জানিয়ে দিলেন, তারা মাথা কেটে দিলেও তিনি কোনওদিন মসজিদে প্রবেশ করবেন না। উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত দিল্লির একটি মসজিদে গিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন প্রবীণতোগাড়িয়া বলেছেন, ‘সরসঙ্ঘচালক ধর্মান্ধ। তারা যা খুশি তাই করুন। আমি তাদের সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু আমার মাথা কেটে গেলেও আমি কখনো মসজিদে যাব না। আমার শক্তি থাকলে অবশ্যই তাকে শিব মন্দিরে নিয়ে আসব। ’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, আদিবাসীরাও হিন্দু। আমরা ভারতের কোথাও হিন্দুদের অনিরাপদ হতে দেব না। পুরনো দিনের কথা মনে করে প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেন, মোহন ভাগবত আমার কাছে পূজনীয়, ‘আমরা ৪০ বছর একসঙ্গে বসে থাকতাম, মারামারি করতাম। মোহন ভাগবতের মসজিদে যাওয়া প্রসঙ্গে কিছু বলতে এড়িয়ে যান প্রবীণ তোগাড়িয়া। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে সর্বভারতীয় ইমাম সংস্থার প্রধান উমর ইলিয়াসির সাথে দেখা করতে দিল্লির একটি মসজিদে গিয়েছিলেন। সেসময় দাবি করা হয়েছিল যে এই সময়কালে মুসলিম নেতাদের সঙ্গে আরএসএস প্রধানের সাথে ৪০ মিনিটের অর্থপূর্ণ আলোচনা করেছিলেন। তা নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করলেন তোগাড়িয়া।রবিবার রায়পুরে পৌঁছন প্রবীণ তোগাড়িয়া। সোমবার তিনি একটি জনসভাও করেন। তার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনায় প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেন, কোনো দরিদ্র হিন্দু চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়, জেলে দরিদ্র হিন্দুদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে, হিন্দুদের জন্য ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন ব্যবস্থার লক্ষ্য নিয়ে সারাদেশে মিছিল-মিটিং করা হচ্ছে। এদিন প্রবীণ তোগাড়িয়া ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে একটি বড় সমস্যা বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনে ভারত গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে। প্রবীণ তোগাড়িয়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যাকে টাইম বোমা বলে বর্ণনা করেছেন, এটি বিস্ফোরিত হলে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct