আপনজন ডেস্ক: রাতের গাঢ় অন্ধকার ভেদ করে তীব্র আলোর ঝলকানি। উল্কাপাতের ফলে আসা পাথর তীব্র মাত্রায় বিষ্ফারিত হল ব্রিটেনের কাছে। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবার ধরা পড়ল ক্যামেরায়। এদিন ইংলিশ চ্যানেলের উপর একটি উল্কাপাতে তীব্র মাত্রায় বিষ্ফারিত হয়। তারই ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন ক্যামেরায় ধরা পড়ে। উল্কাপাতের পাথর মূলত ভিন জগত থেকে আসা কোনো গ্ৰহের বা মহাজাগতিক বস্তুর অংশবিশেষ। বায়ুর মধ্যে দিয়ে আসতে আসতে তীব্র বিষ্ফোরণে ফেটে পড়ে এই পাথর। তারপরেই প্রচন্ড আলোর ঝলকানিতে ভরে যায় চারপাশ। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের উপর দিয়ে জলন্ত পাথর তীব্রবেগে চলে যাচ্ছে। বায়ুতে থাকতে থাকতেই সেটির বিষ্ফোরণ হয়। আর ফেটে পড়ার পরেই দেখা যায় সেই তীব্র আলোর ঝলকানি।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, উল্কাটির নাম Sar2667। বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছিল এমন উল্কাপাতের ঘটনা। তবে এত তীব্র যার আলোর ঝলকানি, আকার সেটি দৈর্ঘ্যে এক মিটারের কম। এয়ারবাস্টের পরেই বিশাল এলাকাজুড়ে ঝলসে ওঠে এটি। এয়ারবাস্ট কী? বায়ুমন্ডলে কোনো পদার্থের বিষ্ফোরণের ঘটনাকে বলে এয়ারবাস্ট। উল্কাপাতের ক্ষেত্রেই সাধারণত এমন ঘটনা দেখা যায়। এই দিনও ঠিক তাই ঘটে। এয়ারবাস্টের সময় বায়ুমন্ডলে প্রচন্ড চাপ তৈরি করে মহাজাগতিক বস্তু। তার ফলে বায়ুও সংকুচিত হয়ে পড়ে। এতেই ফেটে পড়ে বস্তুটি। তবে আকারে কিছুটা বড় হওয়ায় দক্ষিণ ব্রিটেন ও ওয়েলসের আকাশ জুড়ে দেখা যাচ্ছিল পাথরটিকে। লস আমোস ন্যাশনাল লাইব্রেরির পদার্থবিদ ও বায়ুমন্ডলের বিষ্ফোরণ বিশেষজ্ঞ মার্ক বসলো ওয়েলস অনলাইনকে জানান, এই ধরনের বায়ুমন্ডল বিষ্ফোরণের ঘটনার প্রতি বছরই নানা জায়গায় হয়ে থাকে। তবে এবারের ঘটনা অনেক আগে থেকেই ধরা পড়েছিল বিজ্ঞানীদের টেলিস্কোপে। এই উল্কাপাতের একটি বিশেষত্বও রয়েছে। ইতিহাসে এই নিয়ে সপ্তমবার এমন বিশাল উল্কাপাতের ফলে তীব্র আলোর ঝলকানি দেখা গেল। পাশাপাশি আরেকটি কারণেও ইতিহাসে জায়গা করে নিল এই উল্কাপাত। এই প্রথম কোনো জনবহুল স্থানের উপর নেমে এল উল্কা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct