আপনজন ডেস্ক: রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট শুক্রবার হরিয়ানায় দুই রাজস্থানী মুসলিমকে পুড়িয়ে মারার ঘটনার নিন্দা করেছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন গেহলট। রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে, একটি পরিবারের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনদের ধরতে বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এক টুইট বার্তায় বলেছেন যে হরিয়ানার ভরতপুরের ঘটমিকা গ্রামে দুই জনের হত্যা নিন্দনীয়। আধ ডজন লোককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভরতপুর রেঞ্জের পুলিশের আইজি গৌরব শ্রীবাস্তব বলেন, এফআইআরে যাদের নাম রয়েছে তারা বজরং দলের সঙ্গে যুক্ত। তবে তারা এই অপরাধে জড়িত কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাজস্থানের গোপালগড় থানায় অনিল, শ্রীকান্ত, রিঙ্কু সাইনি, লোকেশ সিংলা এবং মোহিত ওরফে মনু মানেসর নামে পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রাজস্থান পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে, অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা মিমের জাতীয় সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এই বিষয়ে সময়োপযোগী ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য গেহলট সরকারের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, অপরাধীদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি, যদিও অপরাধীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওয়াইসি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে হরিয়ানা রাজ্যের ভাওয়ানি জেলায় রাজস্থানের ভরতপুরের দুই মুসলিম যুবক জুনায়েদ ও নাসিরকে অপহরণ করে হরিয়ানায় নিয়ে গিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। পুলিশ হরিয়ানার ভাওয়ানিতে একটি পোড়া বোলেরো গাড়ি থেকে দুজনের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, বজরং দলের কর্মীরা রাজস্থান থেকে জুনায়েদ ও নাসিরকে অপহরণ করে হরিয়ানায় নিয়ে যায় এবং সেখানে তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গোপালগড় থানায় প্রথমে মামলা করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। নিহতের পরিবার এরপর মন্ত্রী জাহিদা খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার হস্তক্ষেপে মামলা দায়ের হয়। শুক্রবার দু’জনের মরদেহ আলসুবা গ্রামে আনা হয়। সেখানেই তাদের দাফন করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct