সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম সেখ, বীরভূম, আপনজন: জোড়া তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় এলাকায় সরগরম রাজনীতি।সেই খুনের ঘটনার জেরে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার কে সরিয়ে দেওয়া হল।জেলায় যোগদান করেন নতুন পুলিশ সুপার।যোগদানের পরেই রামপুরহাট এলাকার মাড়গ্রাম যেখানে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে,সেই এলাকা পরিদর্শন করেন।আজ সোমবার বীরভূম জেলা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায় বোমার আঘাতে নিহত দলীয় কর্মী সেখ নিউটন ও সেখ লাল্টুর পরিবারের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানান।ঘরোয়া ভাবে নিহতদের পরিবারের পাশে বসে ঘটনার বৃত্তান্ত শোনেন এবং দুটি পরিবারকে বিভিন্ন বিষয়ে আশ্বস্ত করে গেলেন।নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে সাংসদের কাছে অনুরোধ করেন যে,খুনের সাথে জড়িত অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা। নিশ্ব হয়ে যাওয়া পরিবার দুটির জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা। সাংসদ শতাব্দী রায় জানান, যে কোন মৃত্যু দু:খজনক। যারা মেরে ছিল তারা একবার তৃণমূলে ছিল পরে বিজেপি হয়ে কংগ্রেসে যায়। খুনের ঘটনায় সাতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের ব্যপারে ও বলা হবে। নিহত লাল্টুর মেয়ের জন্য ও নিউটন শেখের স্ত্রীর চাকরির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের কাছে কথা বলা হবে। অপরদিকে নানুরের তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা কাজলের সেখের বক্তব্য নিয়ে শতাব্দী রায় বলেন, কাজলের সঙ্গে কথা বলবো। বারবার ওর রাগ হচ্ছে কেনো সেটা কথা বলে দেখব। অনুব্রত মন্ডল বিকাশকে ফোন করা প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন এই তিনজনের মধ্যে আমি নেই। উল্লেখ্য গত শনিবার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে কাজল সেখের বক্তব্য এবং মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় জেলা রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct