নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই এক ভিক্ষুকের বাড়ি সহ সাত দিনমজুরের বসত বাড়ি। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি। অগ্নিকাণ্ডটি ঘটেছে সোমবার সকাল নয়টা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের হুসেনপুর গ্রামে। সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই নিয়েছেন আটটি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষ্মী শর্মা,অনিল শর্মা,অদোকা শর্মা,সঞ্জয় শর্মা,বানো শর্মা,ঘৌরি শর্মা,পদিনা শর্মা ও দুলিয়া শর্মা।বিদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত বলে অনুমান স্থানীয়দের।তবে আগুনে হতাহতের কোন খবর পাওয়া না গেলেও বাড়িতে থাকা মজুত শস্য, কাপড়চোপড়, আসবাবপত্র,টাকা পয়সা ও বিভিন্ন মূল্যবান কাগজাদী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আগুন লাগার খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে প্রথম দিকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।এরপর ফোন করা হয় তুলসীহাটা দমকল অফিসে।পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন।তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি সূত্রে জানা যায়,গ্রামের বিদ্যুতিক খুঁটি গুলিতে জট পাকানো অবস্থায় রয়েছে ইলেকট্রিক তার।বিপদসংকুল অবস্থায় বাড়ির উপরে ঝুলে রয়েছে সেই বিদ্যুতিক তার গুলি।বিদ্যুৎ দপ্তরকে বারবার অভিযোগ জানিও হয়নি কোন সমাধান।এই দিনমজুরদের বাড়িগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার পিছনে ইলেকট্রিক দপ্তরের গাফিলতীকে পুরোপুরিভাবে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলি পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অলোক পদ্দার ও জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ চৌধুরী সহ স্থানীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলিকে সরকারিভাবে সব রকমের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন তাঁরা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অলোক পদ্দার জানান, ব্লক প্রশাসনকে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি কে সব রকমের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct