আপনজন ডেস্ক: ‘ভারতের ভালো দল আছে। আমি ওদের স্পিনারদের নিয়ে ভীত নই। যদি না ওরা যাচ্ছেতাই উইকেট তৈরি করে।’ অস্ট্রেলিয়া ভারত সফরে যাওয়ার আগে কথাগুলো বলেছিলেন সাবেক অজি তারকা ইয়ান হিলি। নাগপুর টেস্টের পর ভারতের উইকেট নিয়ে চর্চাটা খানিক বেড়েছে। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা। অজিদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে আড়াই দিনেই শেষ হয় নাগপুর টেস্ট। উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে মুখ খুললেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। নাগপুর টেস্টে স্পিনারদের দাপট দেখা যায়। ম্যাচে তিনটি ফাইফার নেয় বোলাররা। যার সবকটিই নেন স্পিনাররা। ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং অস্ট্রেলিয়ার টড মার্ফি।
তাতে অবশ্য ক্ষতিটা অস্ট্রেলিয়ারই বেশি হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রানে অলআউট হওয়া অজিরা দ্বিতীয় ইনিংসে গুঁড়িয়ে যায় ৯১ রানে। এতে প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করা ভারত এক ইনিংস এবং ১৩২ রানের জয় পায়। নাগপুর টেস্ট শেষে বিসিসিআই টিভির আলোচনায় স্পিনবান্ধব উইকেটের প্রসঙ্গ তোলেন অশ্বিন। অস্ট্রেরিয়াকে খোঁচা দিয়েই এই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রোহিতকে জিজ্ঞেস করেন উইকেটের ধরন নিয়ে। জবাবে ভারতীয় ওপেনার বলেন, ‘পিচ নিয়ে আলোচনা তো সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সফরকারী দলগুলোর জন্য। আমাদের কিংবা ওদের ব্যাটিংয়ের সময় একটি বলও লাফিয়ে উঠে সিলি পয়েন্টে বা শর্ট লেগে যায়নি। আমাদের ব্যাটিংয়ে একটুও সমস্যা হয়নি। রহস্যটা কোথায়? এটা কি ভালো ব্যাটসম্যানশিপের ফল নাকি আমরা ভিন্ন উইকেটে খেলেছি!’রোহিত শর্মা বলেন, ‘একই উইকেট খেলেছি আমরা। ড্রেসিংরুমে আমরা নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে আলোচনা করি। পিচে গিয়ে কী করতে পারব সেই চিন্তা করি। বোলারদের কিংবা ব্যাটারদের স্কিল নিয়ে কিন্তু মানুষ কথা বলে না।’আলোচনা-সমালোচনা এক পাশে ঠেলে নিজেদের খেলায় মনোযোগ রাখতে চান রোহিত। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক। তবে সেসব নিয়ে আমাদের ভাবনাও নেই। আমরা যা করতে পারি, তা হলো মাঠে গিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলা, গত কয়েক বছর ধরে আমরা এটাই করে আসছি এই। কখনও মনে হয়, এখানকার চেয়ে দেশের বাইরে খেলা সহজ। তবে যেটি বললাম, উইকেট যখন অভিন্ন, তখন আপনাকে নিজের খেলাটা দেখাতে হবে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হবে।’ বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টটি দিল্লিতে শুরু হবে আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারি। সিরেজের তৃতীয় ম্যাচটি ১লা মার্চ শুরু হবে ধর্মশালায়। আহমেদাবাদে চতুর্থ ম্যাচটি শুরু হবে ৯ই মার্চ। ২০০৪ সালের পর এবং ২০২৩ সালের আগে মোট ৯ বার বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে লড়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। তার মধ্যে চারবার ভারতে হয়েছে টেস্ট সিরিজটি। পাঁচবার অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে তিনবার বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া। দু’বার সিরিজ জেতে ভারত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct