আপনজন ডেস্ক: জনগণের সেবার গুরুদায়িত্ব সততার সঙ্গে করতে হবে। রবিবার কলেজ স্ট্রিটের হোয়াইট হাউস সভাঘরে অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনের পড়ুয়া ডব্লুবিসিএস কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বললেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস ও পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, হবু আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, দলদাসে পরিণত না হয়ে শিরদাাঁড়া খাড়া রেখে কাজ করে যেতে হবে। জনগণের সেবার গুরুদায়িত্ব সততার সঙ্গে নির্বাহ করতে হবে। একজন ব্যক্তি তখনই ভাল অফিসার বলে গণ্য হবেন, যখন তিনি জনগণ এবং বিরোধীদের ভরসা যোগাতে পারবেন। পিএএসসির আর এক পূর্বতন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ডব্লুবিসিএস-এর চাকরিতে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। শত কাজের চাপেও সংবেদনশীলতা হারালে চলবে না। কৃতী “আধিকারিকদের” অভিষেক ২০২৩ সংবর্ধনা শীর্ষক অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস ২০২০ সালের পরীক্ষায় (একজিকিউটিভ) গ্রুপ এ ও বি বিভাগে উত্তীর্ণ ২৭ জন কৃতি “আধিকারিকদের” সংবর্ধনা জানানো হয়। পাশাপাশি মিসলেনিয়াস সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট ২০১৯ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীকেও সংবর্ধনা প্রদান করে একাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন।
এ ব্যাপারে একাডেমিক এসোসিয়েশনের কর্ণধার শামীম সরকার বলেন, শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের শিক্ষার্থীরা বহু দূরের জেলা থেকে এমনকি উত্তরবঙ্গ থেকে এসে আমাদের সংবর্ধনা গ্রহণ করেছেন। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি দরদ ও টান না থাকলে এটা সম্ভব নয়। আর তাদের সেই সাফল্যের পথে একাডেমিক এসোসিয়েশন যে অবদান রেখে চলেছে তার জন্য নিজেকে খুব গর্বিত মনে করছি। অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনের “অভিষেক ২০২৩” সংবর্ধনা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সাজিদ ইকবাল, গোলাম গাউস, অঙ্কুর সিং রায়, অন্যান্য চ্যাটার্জি, আনন্দ মণ্ডল, সুমন দাস ও কারিমুল ইসলামরা। সাজিদ ইকবাল এবার ডিএসপি হিসাবে যোগ দেবেন, তিনি কলকাতার বেলগাছিয়াতে থাকেন। বেশ কয়েক বছর আগেই মাকে হারিয়েছেন। উর্দু একাডেমির সৌজন্যে ২০১৭ সালে একাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনে ভর্তি হন বলে তিনি জানান। তারপর ২০১৭, ১৮, ১৯ সালের পর ২০২০ সালের এই সফলতায় খুশি প্রকাশ করেছেন তিনি। সাজিদব আরো জানান, মিসলেনিয়াস সার্ভিসের মাধ্যমে কনজিউমার ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসাবে বীরভূমে কর্মরত। আরো এক কৃতী মুহাম্মদ গোলাম গাউস, পার্কসার্কাসের বেগ বাগান এলাকায় থাকেন। তিনিও কনজিউমার ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসেবে বাঁকুড়া জেলায় কর্মরত। এর আগে ২০১৭, ১৮ ও ১৯ সালে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষা দিলেও ২০২০ সালে এসে সফলতা ধরা দেওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গোলাম গাউস। এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অফ কো অপারেটিভ সোসাইটিতে তিনি যোগ দেবেন। ডিএসপি অফিসার হিসাবে যোগ দেবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের অনন্যা চ্যাটার্জি। তিনি ২০১৮ সালে মিসলেনিয়াস সার্ভিসের মাধ্যমে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে ইন্সপেক্টর হিসাবে কেশপুর ব্লকে কর্মরত। অনন্যার কথায়, ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষা একটা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করা। তাই এর জন্য ধৈর্য্য সহকারে একাগ্রতার সঙ্গে পড়াশুনা করলে সফলতা ঠিক ধরা দেবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct