আপনজন ডেস্ক: রবিবার দেশের সাত রাজ্যের নতুন রাজ্যপালের নাম ঘোষণা নরা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে, যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিতর্কের কারণ নতুন রাজ্যপালদের মধ্যে পাঁচজনই বিজেপি নেতা। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন প্রাক্তনক সেনা কর্মকর্তা। অন্যজন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস আবদুল নাজির, যিনি অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ মামলার অন্যতম বিচারপতি ছিলেন। ফলে নাজিরও নজরে বিরোধীদের। তাদের বক্তব্য, আনুগত্যের পুরস্কার বিতরণ শুরু হয়েছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৪ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন নাজির। প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর ঘোষণা অনুযায়ী অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন তিনি। এর ফলে বিশ্ব ভূষণ হরিচন্দনকে অন্ধ্র থেকে সরিয়ে ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল করা হচ্ছে। এসবই কাজের কথা। তবে দ্রৌপদী মুর্মুর ঘোষণার পর চর্চায় উঠে আসছে সেই মামলাগুলো, যাতে সম্মিলিত রায় দিয়েছেন এই প্রাক্তন বিচারপতি। সেগুলি কী কী? অবশ্যই অন্যতম রামমন্দির-বাবরি মসজিদ মামলা। ওই মামলায় বিতর্কিত রায়ের পরে কথিত রামজন্মভূমিতে বাবরি মসজিদের জায়গায় বিরাটাকার নতুন মন্দির তৈরি হচ্ছে। যার উদ্বোধন হবে আগামী লোকসভা ভোটের ঠিক আগে। এছাড়াও তিন তালাক মামলা, নোটবাতিলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মামলায় রায় দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি নাজির। ঘটনাচক্রে সবকটি মামলার রায় বিজেপি তথা কেন্দ্রের মোদি সরকারের নীতি, আদর্শের পক্ষে গিয়েছে, তাই তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হচ্ছেন রমেশ ব্যাশ, ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হচ্ছেন বিজেপি নেতা সিপি রাধাকৃষ্ণণ, লক্ষ্ণণপ্রসাদ আচার্য হতে চলেছেন সিকিমের রাজ্যপাল, শিবপ্রতাপ শুক্লা ও গুলাবচাঁদ কাটারিয়া হবেন যথাক্রমে হিমাচলপ্রদেশ ও অসমের রাজ্যপাল। এরা সবাই বিজেপি নেতা। আর প্রাক্তন সেনাকর্তা কেটি পারনেক হচ্ছেন অরুণাচল প্রদেশের নতুন রাজ্যপাল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct