আপনজন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার দক্ষিণ ত্রিপুরায় একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেস এবং সিপিআই-এমকে তীব্র আক্রমণ করেন এবং জনগণকে দুই দলের দ্বৈত তরবারি সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। যদিও তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে এই ধরনের কোনও মন্তব্র করেননি। শনিবার গোমতী জেলার উদয়পুরে তাঁর দ্বিতীয় নির্বাচনী জনসভায় মোদী বলেন, কেরলে বাম ও কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, কিন্তু ত্রিপুরায় তারা একসঙ্গে নির্বাচন লড়ছে।তিনি বলেন, কংগ্রেস ও বামেরা সবসময় চায় গরিবরা গরিব থাকুক। তারা সবসময় ‘গুন্ডা’ ও দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে। ত্রিপুরার উন্নয়ন নিয়ে মোদি বলেন, মানুষ যদি আগরতলা বিমানবন্দর দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন বিজেপির শাসনামলে রাজ্যে কতটা উন্নয়ন হয়েছে। ত্রিপুরা এখন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস যথাক্রমে ৪৭ এবং ১৩ জন প্রার্থী দিয়ে আসন রফা করেছে।
উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি সরকার সাড়ে তিন লাখ পরিবারকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে এবং চার লাখ পরিবার পাইপের মাধ্যমে পানি পাচ্ছে। সিপিআই(এম) কর্মীরা গরিব মানুষের রেশন লুট করেছে বলে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তহবিল সরবরাহ করেছিল, কিন্তু রাজ্যের তৎকালীন বাম সরকার দরিদ্রদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণে যথেষ্ট আন্তরিক ছিল না। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর গরিব মানুষের জন্য কংক্রিটের বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে মোদী বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার মানুষের সামাজিক পেনশন বাড়িয়ে ২,০০০ টাকা করেছে।উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের মিশনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের পূর্ববর্তী সরকার আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য বাজেটে ২৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল, যা বর্তমান সরকার বাড়িয়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা করেছে। মোদী বলেন, ত্রিপুরা নির্বাচনের জন্য বিজেপির ইশতেহারে আদিবাসীদের উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি যেহেতু সবসময় আদিবাসীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে, তাই গুজরাটের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল ১০০ শতাংশ আদিবাসী সংরক্ষিত আসন জিতেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct