আপনজন ডেস্ক: টানা চারটা বল জোরের ওপর করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। উইকেটে থিতু হওয়া মারনাস লাবুশেন সেই বলগুলো খেলতে একটুও বিপদে পড়েননি। জাদেজা পঞ্চম বলটা করলেন গতি কমিয়ে ও হাওয়ায় ভাসিয়ে। স্পিন–সহায়ক উইকেটে বলও গ্রিপ করল, ডিফেন্ড করতে যাওয়ায় লাবুশেনের পা উইকেট থেকে বেরিয়ে গেল। বাকি কাজটা করেছেন উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরত। নাগপুর টেস্টের প্রথম দিনে জাদেজার দুর্দান্ত স্পেলের শুরুটা এভাবে। লাবুশেনকে আউটের পর জাদেজা ফিরিয়েছেন ৩৭ রানে ব্যাট করা স্টিভেন স্মিথকেও। মূলত জাদেজার বোলিংয়েই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ধস নামে। পুরো ইনিংসে যেভাবে জাদেজা ‘অ্যাকুরেসি’ বজায় রেখে বল করে গেছেন, দেখে বোঝার উপায় নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন সাত মাস পর।
জাদেজা চোটে পড়েন গত বছর এশিয়া কাপে খেলার সময়। অস্ত্রোপচার হওয়ার কারণে খেলতে পারেননি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। খেলা হয়নি বাংলাদেশ সফরও। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য উন্মুখ ছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। টেস্ট খেলতে হবে, এই ভাবনা থেকে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে থাকার সময়ে কঠিন পরিশ্রম করে যাওয়ার কথা বলেছেন জাদেজা। টেস্টের প্রথম দিন শেষে তিনি বলেছেন, ‘বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে বোলিং নিয়ে প্রচুর কাজ করেছি। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বোলিং করেছি, যেটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। বোলিং ছন্দ কীভাবে দ্রুত ফিরে পাওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ করেছি। কারণ, আমি জানতাম আমার টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে, লম্বা স্পেলে বোলিং করতে হবে। রঞ্জি ট্রফির একটা ম্যাচ খেলেছিলাম, সেখানেও প্রায় ৪২ ওভার বোলিং করেছি।’ উইকেট যে স্পিন–সহায়ক হবে, ক্রমেই ব্যাটিংয়ের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠবে, তার আভাস আগে থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। তবে এমন উইকেটেও স্পিনারদের লাইন–লেংথে মনোযোগ দিয়ে নিজেদের কাজটা করে যেতে হয়। টেস্টে ১১ বারের মতো ৫ উইকেট নেওয়া জাদেজাও তা–ই করেছেন, ‘উইকেটে বাউন্স অসমান ছিল। আমি স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করে গেছি। কিছু বল বাঁক নিয়েছে, কিছু বল আবার সোজা গেছে। একজন বাঁহাতি স্পিনার হয়ে যখন আপনি কোনো ব্যাটসম্যানকে কট বিহাইন্ড কিংবা স্টাম্পড আউট করবেন, বুঝতে হবে ওই ডেলিভারটা দুর্দান্ত ছিল।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct