সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: ভগ্নপ্রায় প্রাথমিক স্কুলে প্রাণ হাতে নিয়ে ক্লাস পড়ুয়াদের, বারবার বলেও স্কুল ভবনের হাল না ফেরায় দিশেহারা স্থানীয় অভিভাবকরাঅভিভাবকরা। শিক্ষক আছেন। আছে পড়ুয়াও। স্কুল ভবনও একটা আছে বটে। কিন্তু সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে মস্ত বড় বিপদ। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের চরগোবিন্দপুরের সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়েই প্রাণ হাতে করে স্কুলে যায় ৪৬ জন ছাত্র ছাত্রী। উদাসীন স্কুল শিক্ষা দফতর ও স্থানীয় প্রশাসন।
সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলা সহ একাধিক জেলায় স্কুলের ভগ্নপ্রায় পরিকাঠামোর বলি হতে হয়েছিল একাধিক স্কুল পড়ুয়াকে। তারপরও পরিস্থিতি যে এতটুকুও বদলায়নি তা বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের চর গোবিন্দপুর গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে গেলে বেশ বোঝা যায়। স্কুলের দুটি ক্লাসরুমের অবস্থাই অত্যন্ত শোচনীয়। ক্লাসরুমের ভেতর দিয়ে গাছের শিকড় ঝুলতে ঝুলতে মেঝে ছুঁয়ে ফেলেছে। ক্লাসরুমগুলির দেওয়াল থেকে ছাদ সর্বত্রই বড় বড় ফাটল। মাঝেমধ্যে ছেড়ে পড়ে চাঙড়। বর্ষাকালে ছাদ চুঁইয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে ক্লাসরুমের ভেতরে। অগত্যা সেই ভগ্নপ্রায় ক্লাসরুমের মাঝেই প্রাণ হাতে করে ক্লাস করতে হয় স্কুলের ৪৬ জন পড়ুয়া ও ২ জন শিক্ষককে। পরিস্থিতির কথা জানিয়ে একাধিক প্রশাসনে দরবার করলেও অভিভাবকদের দাবী হাল বদলায়নি স্কুলের। স্বাভাবিক ভাবে নিজের আদরের শিশুকে স্কুলে পাঠিয়েও নিশ্চিন্ত বাড়িতে থাকতে পারেননা অভিভাবকরা। কিন্তু এভাবে আর কতদিন প্রশ্ন স্কুলের পড়ুয়া, অভিভাবক থেকে শিক্ষকদের। স্থানীয় বিডিও আস্বাস দিয়েছেন স্কুলের বেহাল অবস্থা দ্রুত বদলের জন্য পদক্ষেপ করা হবে। এখন প্রশাসনিক সেই আস্বাস আদৌ কার্যকরী হয় নাকি শুকনো আস্বাস হিসাবেই রয়ে যায় সেদিকেই তাকিয়ে চরগোবিন্দপুর প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct