আপনজন ডেস্ক: আল-আমীন মিশনের ছাত্রছাত্রীরা নিট পরীক্ষায় ব্যাপক সাফল্য পায় প্রতি বছর। তার পাশাপাশি অন্য পেশাভিত্তিক কোর্সেও সাফল্য পেতে শুরু করেছেন আল আমীন মিশনের পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য, আল আমীন মিশন নিট প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ডব্লুবিসিএসেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। অধুনা অন্য সরকারি অফিসার পদে নিয়োগের নানা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আর তাতেও সাফল্য মিলছে। সম্প্রতি রাজ্য সিভিল সার্ভিস ও রাজ্য সরকারের আইসিডিএস সুপারভাইসের পদের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে পশ্চিমবঙ্গ রেভিনিউ সার্ভিস গ্রুপ এ-তে আল আমীন পড়ুয়া আজিজুর রহমান যেমন সাফল্য পেয়েছেন, তেমনি আইসিডিসে সুপারভাইসর পদে আল আমীনের ৫ জন ছাত্রী সফল হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ রেভিনিউ সার্ভিস গ্রুপ এ-উত্তীর্ণ আজিজুর রহমানের বাড়ি
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার গোপীনাথপুর গ্রামে। তার লুত্ফুর রহমান লস্কর পেশায় আইনজীবী। তাঁর স্ত্রী আকলিমা বিবি একজন গৃহবধূ। এই পরিবারের চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তান আজিজুর। স্থানীয় প্রাইমারি ও হাইস্কুলের পর মেধাবী আজিজুর মিশনের মেদিনীপুর শাখায় একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে ২০০৯ সালে ভর্তি হয়। ২০১০ এ কৃতিত্বের সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। গণিতে দক্ষ আজিজুর কল্যাণী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বি. টেক.। এম. টেক. করার ইচ্ছা থাকলেও প্রশাসনিক দপ্তরে কাজের অভিপ্রায়ে ডব্লিউবিসিএস-এর কোচিং নিতে পুনরায় ২০১৭ সালে আল-আমীন মিশনে ভর্তি হয়। ইতিমধ্যে আজিজুর গেট কোয়ালিফাই করেছে। পাশাপাশি ২০২০ তে ডব্লিউবিসিএস (মেইন) পরীক্ষায়ও বসেন। এরই মধ্যে সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়েতে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরিও পেয়ে যায়। সম্প্রতি প্রকাশিত ডব্লিউবিসিএস-এর ফলাফলে আজিজুর উত্তীর্ণ হয়েছেন। ডব্লিউবিআরএস-গ্রুপ এ অর্থাৎ রেভিনিউ অফিসার পদে সফল তিনি। এই সাফল্যে তাঁর আত্মীয় স্বজন ও পরিবারে খুশির হাওয়া। তার এই সাফল্য নিজস্ব পরিশ্রম, পরিবার ছাড়াও মিশনের কোচিংয়ের অবদান বলে জানায় সে। আজিজুরের বড় ও সেজো ভাইও আল-আমীনের ছাত্র ছিল। বড়ভাই আসাদুজ্জামান লস্কর মিশনের খলতপুর শাখা থেকে ২০০৬ সালে মেডিক্যাল এন্ট্রান্সে সফল হয়ে কলকাতার পি জি হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে পেডিয়াট্রিক-এ এম. ডি. করে বর্তমানে কাকদ্বীপ হাসপাতালে কর্মরত। তার এই সাফল্যে বড় ভাই আসাদুজ্জামানের অবদান অকপটে স্বীকার করেন আজিজুর। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আইসিডিএস সুপারভাইজার পদের পরীক্ষার ফলও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এই পরীক্ষায়ও আল-আমীনের ৫ জন ছাত্রী আইসিডিএস সুপারভাইজার পদের জন্য চুড়ান্ত সফল হয়েছে—মুর্শিদাবাদ জেলার পিতৃহীন জামিলা হান্নান, দক্ষিণ ২৪ পরগণার বড় গেঁয়োখালির দিনমজুরের কন্যা ইংরেজিতে স্নাতক সুমাইয়া মিস্ত্রী, মুর্শিদাবাদ জেলার গরাইমারি গ্রামের কৃষক কন্যা সাহিনুর খাতুন এবং হুগলী জেলার পুরশুড়া থানার আঁকড়ি গ্রামের দুই বোন কুলসুমা খাতুন ও মাসুমা খাতুন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct