আপনজন ডেস্ক: ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিক্ষোভের সময় সহিংসতার ঘটনায় জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) প্রাক্তন ছাত্র শারজিল ইমাম এবং আসিফ ইকবাল তানহা সহ ১১ জন ছাত্র নেতাকে শনিবার খালাস দিয়েছে দিল্লির একটি আদালত। আদেশে আদালত বলেছে, দিল্লি পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে না পারায় অভিযুক্তদের ‘বলির পাঁঠা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিচারপতি অরুল ভার্মা বলেন, “চার্জশিট এবং তিনটি সম্পূরক চার্জশিট পর্যালোচনা করে এই আদালত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে না যে পুলিশ অপরাধ সংঘটনের পিছনে প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে পারেনি, তবে অবশ্যই এখানে থাকা ব্যক্তিদের বলির পাঁঠা হিসাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রনেতারা হলেন- সফুরা জারগার, শারজিল ইমাম, আসিফ ইকবাল তানহা, চন্দা যাদব, মোহাম্মদ আবুজার, উমাইর আহমেদ, মোহাম্মদ শোয়েব, মাহমুদ আনোয়ার, মোহাম্মদ কাসিম, বিলাল নাদিম ও শাহজার রাজা খান। তবে ২০২০ সালের উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গার ষড়যন্ত্র মামলায় বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অভিযুক্ত ইমাম এখনও হেফাজতে থাকবেন। ইমাম এবং আসিফ ইকবাল তানহা উভয়ের বিরুদ্ধেই দাঙ্গা এবং অবৈধ সমাবেশ সম্পর্কিত ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। জামিয়া মামলার এফআইআরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ৩৫৩, ৩৩২, ৩৩৩, ৩০৮, ৪২৭, ৪৩৫, ৩২৩, ৩৪১, ১২০বি এবং ৩৪ ধারায় দাঙ্গা ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগ রয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর কয়েক ডজন ছাত্র নেতা এবং মুসলিম কর্মীকে কঠোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের অনেকেই এখনো কারাগারে রয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct