সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় কলকাতা পুরসভা আদি গঙ্গার সংস্কারের কাজ মাস চারেক হল শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি আদি গঙ্গার তীরের সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। কলকাতা পুরসভা এলাকার বাইরে কাজ করবে রাজ্যের সেচ দপ্তর। প্রথম দফায় ৪.৭ কিলোমিটার পুরসভা এলাকায় কাজ হবে। খরচ হবে ১১.১৬ কোটি টাকা। শনিবার জলপথে ফিরহাদ হাকিম টালিনালা পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা।এদিকে গরিব মানুষের বস্তি অঞ্চলের মানুষের কথা মাথায় রেখে শহর কলকাতায় আরো নতুন নতুন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে কলকাতা পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যেগে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতায় কলকাতার ১৪৪ টি ওয়ার্ডে প্রাইমারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইতিমধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে। এরপরেও শহরের বস্তি অঞ্চল থেকে শুরু করে গরিব মানুষদের শারীরিক সমস্যার জন্য যারা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বা রেফারেল হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন সে কথা মাথায় রেখেই এবার শহর কলকাতায় চালু করা হচ্ছে ওয়েলনেস সেন্টার। শনিবার চেতলায় ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে তারই শুভ সূচনা করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, এই ওয়েলনেস সেন্টারে ২৪ ঘন্টা ডাক্তার ,নার্স ও চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে। এটি চালু হলে যে কোনো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বা রেফারেল হাসপাতালের ওপর কম গুরুত্ব পূর্ণ রোগীদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে বলেও এদিন জানান তিনি।আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না এ রাজ্যে। লোকসভাতেও ওরা সফল হতে পারবে না। জেলায় জেলায় সফর করে একটা বিষয় ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গেছে যে বিজেপি এর পায়ের তলায় মাটি নেই, বলে এদিন জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি আরো বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন লড়তে হলে প্রতি বুথে একজন করে দলীয় কর্মী রাখতে হয়। বিজেপির সেই সামর্থ্য ও শক্তি কোনটাই নেই। তৃণমূলের প্রতি বুথে কমপক্ষে ৫০০ জন কর্মী আছে বলেও এদিন জানান তিনি।বিজেপি মুসলমানদের সঙ্গে টানাটানির রাজনীতি করছে। তৃণমূল কংগ্রেস এ ধরনের টানাটানি রাজনীতি মুসলিমদের নিয়ে করে না। তৃণমূল কংগ্রেস সেবার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তৃণমূল কখনো মুসলমানদের মারার রাজনীতি করে না, বলে এদিন ফের বিজেপিকে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।সাম্প্রদায়িক ইট মারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী বিজেপি নেতারা নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনকে বদনাম করে তার নোবেল জয়কে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে কটুক্তি করে বাঙালির সেন্টিমেন্টকে নষ্ট করছে। এতেই আখেরে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে এ রাজ্যে। অমর্ত্য সেনকে শুধু বাংলা নয় সমগ্র দেশের মানুষ এমনকি বিদেশের মানুষও রেসপেক্ট করে। তার নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে বিজেপির কটাক্ষ আখেরে তাঁকে অপমান করছে। কটাক্ষ ফিরহাদ -এর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct