এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: হাড়োয়ায় লালন মেলা বহুদিন ধরেই চলে আসছে। সুন্দরবন লালন মেলার উদ্বোধনে এসেছিলেন হাড়োয়ার বিধায়ক তথা বসিরহাট জেলা সাংগঠনিক চেয়ারম্যান হাজী নুরুল ইসলাম। তবে, খসবারান্দা গ্রাম পঞ্চায়েত বাসুবাটি মাঠে একই মাঠে অনুষ্ঠিত হয় লালন লোকসংস্কৃতি মেলা। সেই মেলায় অবশ্য হাজী নুরুল ছিলেন না। ১২ দিনের ব্যবধানে এক িমাটে দুটি লালন মেলা সম্পর্কে ‘আপনজন’-এ জেলা পরিষদের সদস্য সঞ্জু বিশ্বাসের এক মন্তব্য প্রকাশিত হয়। সেই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে হাড়োয়া জুড়ে। ওই খবরে বলা হয়েছিল, ‘‘জেলা সভাপতি সঞ্জু বিশ্বাস বলেন’, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে মেলা করছি এবার বিধায়ক আমাদের মধ্যে বিভেদ ঘটাতে চাইছে।” কিন্তু বৃহস্পতিবার সঞ্জু বিশ্বাস আপনজন-এর বসিরহাট সংবাদদাতাকে বলেন, ‘বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলামের সঙ্গে তার কোনও বিরোধ নেই। তাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা একেবারে অসত্য। বিধায়কের সঙ্গে তার বরাবরই ভাল সম্পর্ক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার কথাকে বিকৃতি করে সাজিয়ে লেখা হয়েছে। আমি বসিরহাটের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নই, কিন্তু আমাকে জেলার সভাপতি বলে লেখা হয়েছে। হাড়োয়ার বুকে কোনো গোষ্ঠী কোন্দল নেই। কয়েক বছর ধরে লালন মেলা হচ্ছে। বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলামের সঙ্গে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। যেসব কথা হাজী নুরুল সম্পর্কে লেখা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমি সবাইকে নিয়েই চলতে চাই। তৃণমূল কংগ্রেস বড় পরিবার। আমরা সবাই একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাড়োয়ার বুকে রয়েছি। কেউ চক্রান্ত করে আমাদেরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য দিয়েছে।’ তবে এই বিষয়টি নিয়ে হাড়োয়ার বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার ‘আপনজন’কে বলেন, তৃণমূল দলের ভিতরে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই আমার বিধানসভায় সবাইকে নিয়েই আমি কাজ করি। যেসব কথা আমি শুনতে পাচ্ছি বা দেখছি তা পুরো ভিত্তিহীন। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct