অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট, আপনজন: মিড-ডে মিল সম্পর্কিত বিষয়ে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল বৃহস্পতিবার। গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে এদিনের এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, গঙ্গারামপুর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দাওয়া শেরপা, গঙ্গারামপুর উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুনীল কুমার দাস, গঙ্গারামপুর ব্লকের মিড-ডে মিল (বর্তমান নাম পিএম পোষণ যোজনা) প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ দেবরাজ বালা, গঙ্গারামপুর ব্লক এর মিড-ডে মিল প্রকল্পের ডেটা ম্যানেজার সৈকত দে সরকার। আলোচনা সভায় শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দাওয়া শেরপা জানান, ‘প্রকল্পে বেশ কিছু নতুন নিয়ম কানুন রয়েছে। আপনারা সকলেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দফতরে জমা করবেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দিতে হবে আপনাদের। এপ্রিল মাস পর্যন্ত অ্যাডিশনাল নিউট্রিশন(বাড়তি পুষ্টি) এর টাকা ও মার্চ মাস পর্যন্ত মিড-ডে মিল প্রকল্পের টাকা অগ্রিম দেয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে, এ বিষয়ে গঙ্গারামপুর ব্লকের পিএম পোষণ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ দেবরাজ বালা জানান, ‘অধিকাংশ স্কুলে মিড-ডে মিল প্রকল্পের কোন কমিটি নেই।আপনারা অতিসত্বর সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে কমিটি তৈরির কাজ সম্পন্ন করুন।মিড-ডে মিলে বাড়তি পুষ্টি সম্পর্কিত খরচের হিসাব দফতরে নির্দিষ্ট ফরমেটে নির্ধারিত সময়ে জমা করুন। এ সম্পর্কিত বিষয়ে কোথাও কোনো সমস্যা হলে তা আমাদের জানান।’
জানা গিয়েছে,গঙ্গারামপুর ব্লকের অন্তর্গত শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র , প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাই স্কুল মিলিয়ে প্রায় ৩০৫ টি বিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলিতে মিড ডে মিল চলে। সেই সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এদিনের এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মূলত কিভাবে পিএম পোষণ প্রকল্পের মাসিক ব্যয়ের হিসাব ও ‘বাড়তি পুষ্টির’ হিসাব দপ্তরে জমা করতে হবে, সে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রজেক্টরের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন গঙ্গারামপুর ব্লকের মিড-ডে মিল প্রকল্পের ডেটা ম্যানেজার সৈকত দে সরকার। এ বিষয়ে গঙ্গারামপুর ব্লকের মিড-ডে মিল প্রকল্পের ডেটা ম্যানেজার সৈকত দে সরকার জানান, ‘আপনাদের প্রত্যেককেই নির্ধারিত সময়ে প্রতিদিন নিয়ম করে কতজন পড়ুয়া মিড-ডে মিল খেয়েছে সেই তথ্য এসএমএস বা অ্যাপস এর মাধ্যমে পাঠাতে হবে।’ পাশাপাশি ‘এক্সট্রা নিউট্রিশন’ এর ক্ষেত্রে ছাত্র পিছু কুড়ি টাকা একদিনের পরিবর্তে এক সপ্তাহে বিভিন্ন দিনে খাওয়ানো যেতে পারে বলেও পরামর্শ দেন তিনি। অন্যদিকে, এদিনের আলোচনা সভায় বেশকিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিনের মিড- ডে মিল খাওয়ার তথ্য এসএমএস বা অ্যাপস এর মাধ্যমে পাঠানোর সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাঁরা জানান, ‘নির্ধারিত সময়ে এসএমএসের মাধ্যমে কতজন ছাত্র-ছাত্রী মিড ডে মিল খেয়েছে সে তথ্য পাঠালেও, অনেক ক্ষেত্রেই এসএমএস পৌঁছয় না। পাশাপাশি অনেক সময় অ্যাপসের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct