আপনজন ডেস্ক: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বুধবার ২০২৩ সালের বাজেট পেশ করেছেন, যা বিরোধী নেতাদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছে। সাধারণ নির্বাচনের আগে এটাই বর্তমান সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। একদিকে শাসক শ্রেণী যখন বাজেটকে ‘অমৃত কালের মজবুত ভিত্তি’ বলে বর্ণনা করেছে, অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মোদী সরকারকে ‘মিত্র কাল কা বাজেট’ বলে আক্রমণ করেছেন। টুইটে রাহুল গান্ধি লিখেছেন, বর্তমান বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোনো দৃষ্টিভঙ্গি নেই বা মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলার কোনো পরিকল্পনা নেই। বাজেটে বৈষম্য দূর করার কোনো অভিপ্রায় নেই ’ রাহুল গান্ধি তার টুইটে আরও লিখেছেন এই বাজেট প্রমাণ করে যে সরকারের কাছে ভারতের ভবিষ্যৎ গড়ার কোনো নীলনকশা নেই।
এ তো অমাবস্যার বাজেট বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্মলা সীতারামনের বাজেটে ভবিষ্যতের জন্য কোনও আশার আলো নেই বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী । তাঁর মতে, দিশাহীন এই বাজেটে যা আছে তা শুধুই অন্ধকার, শুধুই অমাবস্যা। এই বাজেট গরিব এবং বেকারদের বিরোধী বলেই মনে করছেন তিনি। স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন মমতা। এই ক্ষেত্রে মোদীর সরকার বাংলাকে নকল করার চেষ্টা করছে বলেও মনে করেছেন তিনি। বীরভূমে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তিনি হলে গরিব ও সাধারণ মানুষের জন্য বাজেট আধ ঘণ্টায় করে দিতেন।বুধবার সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট বক্তৃতার কিছু ক্ষণ পর বীরভূমের বোলপুরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা। সেখানে কেন্দ্রীয় বাজেট প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন,’কেন্দ্রীয় সরকার একটা নাকি বাজেট করেছে। বাজেট না কি অন্য কিছু? মুখে বলা হচ্ছে, দারুণ বাজেট হয়েছে। কী দারুণ? একটা কথা বেকারদের জন্য বলা নেই।’’ মমতার অভিযোগ, ‘‘আগের বছর ১০০ দিনের কাজের টাকা কমিয়েছিল। এ বার পুরো কোপ বসিয়েছে।’’ ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলেও আবার অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতার কথায়, এটা ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’।কেন্দ্রীয় বাজেটে গ্যাসের দাম নিয়ে কোনও কথা নেই বলেও জানিয়েছেন মমতা। সিপিআই (এম) পলিটব্যুরো এটিকে পরস্পরবিরোধী, জনবিরোধী বাজেট বলে অভিহিত করে বলেছে. ২০২৩-২৪ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে “কর্মসংস্থান সৃষ্টির সাথে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি” এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর কেন্দ্রীয় সমস্যার সমাধান করা হয়নি। বেকারত্বের হার যখন ‘রেকর্ড উচ্চতায়’ আছে তখন এমজিএনআরইজিএ-র বরাদ্দ ৩৩ শতাংশ কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশেষভাবে নিশানা করেছে সিপিএম। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বলেন, বিজেপি কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা, প্রত্যেককে আবাসন এবং ২০২২ সালের মধ্যে ৮০ কোটি কর্মসংস্থান ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিগুলির কোনওটিই পূরণ হয়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct