সম্প্রীতি মোল্লা, আসানসোল, আপনজন: কয়লা পাচার মামলায় নয়া মোড় দেখা গেল এবার।মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন অনুপ মাজি তথা লালা ঘনিষ্ঠ রত্নেশ বর্মা নামে এক অভিযুক্ত । অভিযোগ, ইসিএলের খনি থেকে পাচার হওয়া কয়লা কোথায় যাবে?কোন গাড়ি কোন গন্তব্যে যাবে? সবটাই তদারকি করতেন তিনি। আপাতত অভিযুক্তকে ১ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আসানসোল আদালত।গত দু'বছর ধরে সিবিআইয়ের কেস ডায়েরিতে পলাতক ছিলেন এই রত্নেশ। তাঁকে খুঁজে পাচ্ছিল না সিবিআই। রত্নেশকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল আসানসোল আদালত। আত্মসমর্পণ না করায় অভিযুক্তর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। অবশেষে এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। এদিন আদালতে সওয়াল জবাবের পর তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত। আজ অর্থাত্ বুধবার তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। সিবিআই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ, রত্নেশ বর্মার বাড়ি নরসোমদা কোলিয়ারি। এদিন সেই এলাকায় খোঁজ নেওয়া হয়। পরিবারের তরফে জানানো হয় তাঁর বিষয়ে কিছু জানেন না তাঁরা। দু'বছর ধরে তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই পরিবারের। অভিযোগ, অনুপ মাজির হয়ে কয়লার পরিবহণের বিষয়টি দেখতন রত্নেশ। চোরাই কয়লা কোথায় যাবে তার দেখভাল করতেন তিনি।উল্লেখ্য , ২০২০ সালে প্রথমবার রত্নেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই । কয়লা পাচারের তদন্তে ইসিএল একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করে। তদন্তে থাকে ভিজিল্যান্সের সদস্যরা। তাদের সন্দেহ ছিল, ইসিএল ও সিআইএসএফের সদস্যরা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। সেই সময় তপসি গ্রাম, লচ্ছিপুর গ্রামে অভিযান চালায় টাস্ক ফোর্স। সেখান থেকে পাচারের বহু সামগ্রী যেমন মেশিন, গাড়ি উদ্ধার হয়। ওই বছরে আগস্ট মাসে রেলের পরিত্যক্ত এলাকা থেকে প্রচুর কয়লা উদ্ধার হয়। এরপর থেকেই সিবিআইয়ের নজরে ছিল রত্নেশ। তবে গত দু'বছর ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন । অবশেষে মঙ্গলবার রত্নেশ বর্মা আত্মসপর্পণ করলেন। তাঁকে জেরা করে কয়লা পাচারের যোগসুত্রে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজতে চাইছে সিবিআই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct