সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের দুবরাজপুর গ্রামে দিদির দূত হিসাবে গিয়ে এলাকার এক যুবকের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আজ ইন্দপুরের গুন্নাথ গ্রামে দিদির দূত হিসাবে গিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধায়ক। স্থানীয় গুন্নাথ গ্রামের বাসিন্দাদের দাবী ডাঙ্গারামপুর থেকে মুদিনা পর্যন্ত মোট পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেহাল। বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিষয়টি বারবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে জানিয়েও লাভ হয়নি।পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অভিযোগ বিভিন্ন জায়গায় নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের কাজ শুরু হলেও গুন্নাথ গ্রামের মানুষ নলবাহিত পানীয় জল থেকে বঞ্চিত। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কথা শুনে বিধায়ক রাস্তাটি সংস্কারের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে খোঁজ নেন। বরাত পাওয়ার পরও রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু না করায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে জরুরী তলব করে ব্যাপক ধমক চমক দেন বিধায়ক। দ্রুত কাজ শুরু না করলে ওই ঠিকাদারকে কালো তালিকাভূক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকেও নির্দেশ দেন বিধায়ক। পাশাপাশি দ্রুত গুন্নাথ গ্রামে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের ব্যাপারে স্থানীয়দের আস্বাসও দেন বিধায়ক। রাস্তার বরাত পাওয়া ঠিকাদার জানিয়েছেন বরাত পেলেও বালি ও পাথরের যথেষ্ট জোগান না মেলায় রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। হাতে পাইকারি দরে হোগলা কিনে সংস্কারের কাজ করা হবে। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কেও এব্যাপারে দ্রুত খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct