সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: গত পাঁচ বছরে খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে তিন তিন বার সভাপতি বদল হয়েছে আর আমার আপনার বাড়ির ছেলেরা একশো দিনের কাজের টাকা পাচ্ছে না। কে পয়সা খেয়েছে জানিনা। বিডিওকে পয়সা দিতে হবে। নাহলে বিডিওর বেতন বন্ধের জন্য আমাদের লড়াই জারি থাকবে। সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় ডিওয়াইএফআই এর সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ভাষাতেই একশো দিনের কাজের বকেয়া মজুরী নিয়ে হুশিয়ারি দিলেন ডিওয়াইএফ আই এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখার্জী। এদিনের সভা থেকে একই সাথে কেন্দ্রীয় দল ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে মিনাক্ষী বলেন, অধিকারী বাড়ির ছোট ছেলেটা দিদিমনির সাথে শুভদৃষ্টি করতে একদিন গিয়েছিল। সেখানে তিন মিনিট ধরে দিদিমনিকে প্রণাম করে এসেছে। এখানেও কাটমানি রয়েছে। কেন্দ্র থেকে এ রাজ্যে দল পাঠিয়ে যদি বিজেপির চোর ধরার খুব ইচ্ছে থাকে তাহলে সবার আগে অধিকারী পরিবারের ছোট ব্যাটাকে ধরে দেখাক। তারপর তারা অন্য কোথাও যাবে। এদিন সমাবেশে উপস্থিত সংগঠনের কর্মীদের সিপটি তৈরী রাখার নিদান দেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন লম্বা সরু মায়ের হাতের সিপটি খেলে বাড়ির ছেলেপুলেদের পিঠ বেঁকে যায়। আমাদের সকলকে সেই সিপটি তৈরী রাখতে হবে। আমাদের আবাস যোজনার টাকা মেরে যারা চারতলা বাড়ি বানাচ্ছে কেন্দ্রীয় দল বা বিডিওরা তাদের বিরুদ্ধে এফ আই আর না করলে দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও এদিন মিনাক্ষী এদিন আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসক দলকে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন হচ্ছে। বেকার ছেলেদের কাজ নেই। আমরা যদি সঠিক পরীক্ষা দিয়ে পাস করি তাহলে আমাদের অনশন করতে হবে নয়তো অতনু মিস্ত্রীর মতো মরতে হবে নাহলে আবদুল রহমানের মতো আত্মহত্যা করতে হবে। ডিগ্রুপে চাকরী করতে হলে বাপের কিডনি বিক্রি করে তৃনমূলের ঘরে ঘুষ দিতে হবে। তবে চাকরী হবে। আর অন্যদিকে ৩০ বছরের একটি মেয়ের ৩১টি জীবনবীমা আর একজন তরুনীর ৬৯ বছরের বুড়োভাম ভুড়িমোটা একটা বয়ফ্রেন্ড থাকে তাহলে সাদা খাতা জমা দিলেও চাকরী পেয়ে যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct