নিজস্ব প্রতিনিধি, বোলপুর, আপনজন: জমি বিতর্কে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ‘মোদি সরকারের পোষ্য ভৃত্য’ বিশ্বভারতী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘কাউকে অপমান করার কোনও অধিকার কারও নেই। কিছু মানুষের অভ্যাসই রয়েছে সম্মানীয় মানুষকে অশ্রদ্ধা করা। যিনি অমর্ত্য সেনের মতো বিশ্ববরেণ্য মানুষকে অপমান করেন তার কী আদৌ উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে? বিশ্বভারতীকে আমরা খুব ভালবাসি। কিন্তু এখানে যিনি উপাচার্য হয়ে এসেছেন তিনি আসলে বিজেপিকে তুষ্ট করার চেষ্টা করছেন। কবিগুরুর তৈরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গৈরিকীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন বলে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। আর ওই সাক্ষাৎকারের পরেই প্রবীণ অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তোলেন মোদি সরকারের পোষ্য ভৃত্য বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কথায়-কথায় আদালতে ছুটছে (পড়ুন বিশ্বভারতীর উপাচার্য)। কোর্ট কাছারি করে সব হবে না। জনতার আদালতও রয়েছে। সেটা যেন মনে রাখে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক আশা করি এ ভাবে যথেচ্ছচারিতার খোঁজ নিয়ে দেখবে। বিজেপি করলে সাত খুন মাপ হতে পারে না। আমি ছোট্ট একটা ছক্কা মেরে গেলাম।’
অমর্ত্য সেন যে জমি দখল করেননি সেই দাবি করে মমতা বলেন, বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে অমর্ত্য সেনকে ২৪ জানুয়ারি পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে উনি নাকি ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। আমি ক’দিন ধরে অনেক ভাবে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিশ্বভারতীকে যখন জমিটা দেওয়া হয়েছিল সেই কাগজ আমি নিয়ে এসেছি। যে জমিটা লিজে দেওয়া হয়েছিল তা ১.৩৮৮ একর। আর ওরা (বিশ্বভারতী) বলছে ১.২৫ বলছে একর। এল আর রেকর্ড বলছে ১.৩৮ একর। তাই অমর্ত্য সেন ঠিক বলছেন। ১৯৫৬ সালের আরএস রিপোর্টেও একই তথ্যা রয়েছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct