নিজস্ব প্রতিনিধি, সল্টলেক, আপনজন: ব্রিটিশ আমল থেকে বাম জমানা পর্যন্ত রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কার্যলয় ছিল কলকাতার বিবাদি বাগে থাকা মহাকরণ। কিন্তু তৃণমূল জমানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমদিকে মহাকরণে বসলেও পরে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় করে তোলেন হাওড়া শহরে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজার কান ঘেঁষে থাকা ‘নবান্ন’নামের বহুতলে। পরে সেই নবান্ন চত্বরে তিনি আরও বেশ কিছু ভবনও নির্মাণ করান যেখানে সরকারি বৈঠক বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাতে পারে। কার্যত তারপর থেকেই নবান্নেই রাজ্য মন্ত্রিভসার বৈঠক বসে এসেছে। তবে রাজ্য মন্ত্রিসভার সব বৈঠকই যে নবান্নের অন্দরেই হয়েছে এমনও নয়। প্রথা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার রাজ্য মন্ত্রিসভাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বৈঠকের আয়োজন করেছেন কখনও জেলার বুকে তো কখনও পাহাড়ের বুকে। সোমবারও তিনি প্রথা ভাঙলেন। সোমবার প্রথমবারের জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসল সল্টলেকের বুকে থাকা কেএমডিএ’র সদর দফতর উন্নয়ন ভবনে।এর আগে নবান্নের বাইরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছিলেন আলিপুরে রাজ্য সরকারের অতিথি নিবাস ও ব্যাঙ্কোয়েট হল ‘সৌজন্য’-তে। অধিবেশন চললে রাজ্য বিধানসভা ভবনেও মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এর আগে। এছাড়াও কয়েক বছর আগে দার্জিলিংয়ের বুকে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই মন্ত্রিসভাকেই তিনি টেনে আনলেন সল্টলেকের বুকে ‘উন্নয়ন ভবন’ প্রাঙ্গণে। উন্নয়ন ভবনে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার খবরে খুশি কেএমডিএ-র কর্মীরা। এই বছরই সংস্থা ৫০ বছরে পা দিয়েছে। ৫০ তম বছরে সংস্থার সদর দফতরে মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা। এদিনের বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে কলকাতা বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে। সেই অনুষ্ঠান শেষে তিনি সল্টলেক থেকে হেলিকপ্টার করে বীরভূম উড়ে যান। হেলিকপ্টারে রওনা হয়ে তিনি এদিন বিকালের মধ্যেই বোলপুরে পৌঁছন। এরপর থাকছে তাঁর ৩টি জেলার সফর। বীরভূম ছাড়াও এই তালিকায় থাকছে পূর্ব বর্ধমান ও মালদা জেলা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct