এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: হাড়োয়ায় পরকীয়ার জেরে শাশুড়ি ও জামাইকে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মার গ্রামবাসীদের। জানা যায়, শাশুড়ির সাথে জামাইয়ের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায়, ওই দু’জনকে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে গণধোলাই দিল গ্ৰামবাসী এবং তার আত্মীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে জামাই ও শাশুড়িকে উদ্ধার করে। এমনই খবর জানাযায় এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে। এই ছবির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে রবিবার গ্রামে গিয়ে শোনা যায় শাশুড়ি ও জামাইকে গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে। অভিযুক্ত মহিলার মেয়ে বলেন, গত পাঁচ বছর হচ্ছে মায়ের সাথে জামাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে।সেই সংবাদ ঢাকতে ওই ছেলের সাথে এক রকম জোর করে বিয়ে দেয় আমার। সব জানলেও তখনও বুঝতে পারেনি যে, মা সত্য সত্যই জামাইয়ের সাথে সম্পর্ক রেখে চলেছে। তবে যে দিন মা এবং জামাই দীঘাতে গেল সে দিন ঘটনা পরিস্কার হয়েছে আমার কাছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটে হাড়োয়ায় থানা এলাকায়। বছর চল্লিশের শাশুড়ির সাথে বছর পঁয়ত্রিশ বয়সী জামাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত পাঁচ বছর ধরে চলছিল উভয়ের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক। ওই মহিলার মেয়ের দাবি, বিয়ের আগে থেকে মা তাঁর জামাইয়ের সাথে বিবাহ বহিরভূত সম্পর্ক বজায় রাখত। তা জানতে পেরে প্রতিবাদ করি। কিন্তু ওরা আমার কোন কথা শুনত না। এদিন মেয়ের সামনে শাশুড়ি ও জামাইয়ের অপৃতিকর অবস্থায় ধরা পড়ার পর প্রতিবাদ করলে আমাকে প্রচন্ড মারধোর করা হয়। কাকার কাছ থেকে সব শুনে গ্রামের একাংশ এবং আত্মীয়স্বজনেরা একত্রিত হয়ে শাশুড়ি ও জামাইকে ধরে গণধোলাইয়ের পর নারকেল গাছের সাথে বেঁধে রেখে দেয়। পরে তাদের দুজনকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে খবর।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct