আপনজন ডেস্ক: আল আমীন উৎসবের অন্তিম দিনে আল আমীন মিশনের আর এ দিগন্তের সূচনা হল। মূলত রাজ্যের পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সমাজের ছাত্রছাত্রীদের রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে একত্রিত করে মেধার উৎকর্ষের বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষা মানচিত্রে আল আমীন মিশন খ্যাতির শিখরে। সেই মেধার বিকাশে গরিব ছাত্রছাত্রীরাও ছিল মিশনের আলোয় আলোকিত করার উদ্দেশ্য, যাতে অর্থভাবে গরিব মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা হারিয়ে না যায়। সেই মুকুটে আল আমীন মিশনের নতুন পালক এবার ‘শান্তি নীড়’। শৈশবে বাবা-মাকে হারানো শিশুরাও যাতে শিক্ষা অর্জনে কোনও প্রতিবন্ধকতার মুখে না পড়ে সেই উদ্দেশ্যে প্রাথমিক পড়ুয়াদের জন্য সূচনা হল তাদের এক অনন্য শিক্ষালয় ‘শান্তি নীড়’। রবিবার আল-আমীন উৎসবের শেষ দিনে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে সেই ‘শান্তিনীড়’-এর শুভ সূচনা হল। এতিম বা অনাথ ছেলেমেয়েদের জন্য আল আমীন মিশনের এই নতুন যাত্রার সাক্ষী থাকলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীও। ‘শান্তি নীড়’-এর সূচনা প্রসঙ্গে আল আমীন মিশনের সম্পাদক এম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘৩৭ বছর আগে মাত্র ৭ জন ছাত্র নিয়ে শুরু হয় আল-আমীন মিশন এখন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী মিলে ৫৭ হাজার সদস্যের সুবৃহৎ পরিবার আল-আমীন। এই শুভক্ষণে রূপায়িত হচ্ছে আল-আমীনের একটি নতুন মানবিক ভাবনা— শান্তিনীড়। যেখানে পিতৃহীন, মাতৃহীন ও পিতৃমাতৃহীন তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির শিশুরা মিশন পরিবারের একান্ত যত্নে ও ভালোবাসায় শিক্ষালাভ করবে। আজ সদ্য আবাসিক ২২ জন কচিকাঁচার পবিত্র হাতের স্পর্শে তাদেরই ‘শান্তিনীড়’-এর শুভ সূচনা হল। এদিন নুরুল ইসলাম আরও বলেন, আল আমীন উৎসবের লক্ষ্য হল কেমন করে আমাদের শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে ভাল থাকতে হবে তার চেষ্টা করা। ৩৭ বছর আগে সেই আলোক রশ্মি আজ রাজ্য জুড়ে বিচ্ছুরিত হচ্ছে, বিকশিত হচ্ছে। এই আল আমীন উৎসব সেই ৩৭ বছরের স্মৃতি বহন করে চলছে। শুধু মিশনের বর্তমান পড়ুয়ারা নয়, তিন দশকের প্রাক্তনী ও অভিভাবকসহ মিশনের শুভানুধ্যায়ীরা আজ আল আমীন উৎসবে শামিল। দেশ ও বিদেশে পাঠরত, অধ্যাপক বা উচ্চ পদে চাকরিরত অসংখ্য প্রাক্তনদের সমাহারে আল আমীন উৎসব যে মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে, তা দেখে বুক ভরে যাচ্ছে। আমরা এই উৎসবের মেধ্য দিয়ে এই বার্তা দিতে চাই, এই উৎসব কেমন করে ভাল থাকা যায়, কেমন করে ভাল রাখা যায় তার উৎসব। আমাদের চারিপাশে যারা আছেন তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে ভাল রাখার চেষ্টা করব। তবে শুধু দুনিয়াদারি নয়, আখিরাতের কথাও ভাবতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct