আপনজন ডেস্ক: গুজরাতে গোধরা ট্র্যাজেডির পরে দাঙ্গার একটি মামলায় দুই শিশুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৭ জনকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ২২ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। সংখ্যালঘু অভিযুক্তদের আইনজীবী গোপাল সিং সোলাঙ্কি বলেছেন, অতিরিক্ত দায়রা জজ হর্ষ ত্রিবেদীর আদালত ২২ অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দিয়েছে, যাদের মধ্যে ৪ জন বিচার চলাকালীন মারা গেছে। সোলাঙ্কি বলেন, “জেলার দেলোল গ্রামে দুই শিশুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৭ জনকে দাঙ্গা ও হত্যার ঘটনায় প্রমাণের অভাবে আদালত সমস্ত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।” স্মরণ করা যেতে পারে ২০০২ সালের ২৭ পঞ্চমহল জেলার গোধরা শহরের কাছে একদল জনতার বিরুদ্ধে সবরমতি এক্সপ্রেসের একটি কোচে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর একদিন পরে গুজরাতের বিভিন্ন অংশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে, অযোধ্যা থেকে করসেবকরা সবরমতি এক্সপ্রেস করে ফিরছিলেন। সেই সময় গোথরা স্টেমনে দাাঁড়ালে তাতে আগুন লাগানোর ঘটনায় ৫৯ জনের মৃত্যুর, যাদের বেশিরভাগই করসেবক। সেই ঘটনায় সংখ্যালঘুদের দিকে আগুল তোলা হয়। যদিও, ট্রেনে আগুন লাগানোর অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সেসময় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে. গোধরা কাণ্ডের জেরেই গুজরাত জুড়ে ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু হয়। দেলোল গ্রামে সহিংসতার পরে হত্যা এবং দাঙ্গা সম্পর্কিত ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিধানের অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। অন্য একজন পুলিশ পরিদর্শক ঘটনার প্রায় দুই বছর পর একটি নতুন মামলা নথিভুক্ত করেন। সেই দাঙ্গায় জড়িত থাকার জন্য ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে যাদের সবাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। আইনজীবী সোলাঙ্কি বলেন, তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি সাক্ষীরাও বিরূপ হয়ে উঠেছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, নিহতদের লাশ কখনো পাওয়া যায়নি। পুলিশ একটি নদীর তীরে একটি নির্জন স্থান থেকে হাড়গুলি উদ্ধার করেছে। তবে সেগুলি এতটাই পুড়ে গেছে যে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। সোলাঙ্কি বলেন, প্রমাণের অভাবে, আদালত ২২ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছে, যাদের মধ্যে আটজন বিচার চলাকালীন মারা গেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct