আপনজন ডেস্ক: প্রত্যেক মানুষের ইচ্ছা থাকে জীবনে উদেশ্য থাকে কিছু করে দেখানোর। আর এই কাজটা তো এমনি এমনি হবে না। কিছু অভ্যাসেআছে যা এই কাজে আমাদের সাহায্য করে। তবেই ব্রেন দ্রুত গতিতে কাজ করে। সব কাজে সফল হওয়া সম্ভব হয়। আমাদের শরীরের সবথেকে শক্তিশালী অঙ্গের নাম হল মস্তিষ্ক। তবে বেশিরভাগ মানুষই এই অঙ্গ নিয়ে একদম ভাবেন না। আর এই কারণেই যত রাজ্যের সমস্যা তৈরি হয় জীবনে। যদিও কয়েকটি সহজ অভ্যাসই জীবনে আনতে পারে বিরাট বদল। ছোটবেলা থেকেই অভিভাবকেরা চেষ্টা করেন তাদের সন্তানের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর। এমনকি স্মৃতি যাতে বৃদ্ধি পায়, এই চেষ্টাও করা হয়। তবে শুধু চেয়ে লাভ নেই, সেই মতো পা ফেলতে হবে সঠিক রাস্তায়। তবেই কাঙ্খিত লক্ষ্য ছুঁতে পারবেন। তবে ভয় পেয়ে লাভ নেই। যে কোনও বয়সেই মস্তিষ্কের ক্ষমতা আপনি বাড়াতে পারবেন। এবার এই অভ্যাসগুলো জীবনে যুক্ত করে নিন। আশা করছি সব সমস্যা মেটানো সম্ভব হবে।
ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার খাওয়া সবার আগে জরুরি। আসলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রেনের জন্য খুবই উপকারি। ব্রেনের কোষের পুষ্টি জোগায় এই পদার্থ। তাই এই অঙ্গের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই প্রসঙ্গে ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফেরমেশন জানাচ্ছে, যে ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার খেতে পারলে মস্তিষ্কের নানা অসুখ থেকে বাঁচা সম্ভব। কোন কোন খাবারে থাকে? এই উপাদান পাবেন স্যালমন মাছ, কর্ড লিভার তেল, চিয়া সিড, ওয়ালনাট, সোয়াবিন সহ কিছু সাপ্লিমেন্টে। সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ুন। সূর্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারলে সবথেকে ভালো হয়। আর শুধু ঘুম থেকে ওঠা নয়। বরং আপনি চেষ্টা করুন সকালে উঠে গান শোনার। গান শুনতে পারলেই দেখবেন দুশ্চিন্তা কমেছে অনেকটা। সারাদিন এর সুফল পাবেন। এই প্রসঙ্গে এনসিবিআই-তে প্রকাশিত একটা গবেষণা বলছে, গান আমাদের দুশ্চিন্তা দূর করে দিতে পারে। এরফলে স্ট্রেস থাকে কম। আর টেনশন কম থাকলে আপনি সব কিছু দ্রুত শিখতে পারবেন। এমনকী আপনার মনে রাখার ক্ষমতা হবে বেশি। তাই চিন্তা নেই। এখন মানুষ চিনি বা মিষ্টি যুক্ত খাবার বেশি খান। যদিও এই খাবার কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর। দেখা গিয়েছে, বেশি পরিমাণে রিফাইন সুগার খেলে ব্রেন ড্যামেজ হয়। এমনকী এই অভ্যাস শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপরও প্রভাব ফেলে। মানুষগুলি দ্রুত সবকিছু ভুলে যেতে থাকেন। তাই চেষ্টা করুন চিনির থেকে দূরে থাকার। এর বদলে খেতে পারেন মধু বা গুড়। এই দুই খাবার এক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী হতে পারে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। সূর্যের আলোর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ। এই আলো শরীরে ডোপামাইন হরমোন বের করে। মুড ভালো রাখার কাজটা করতে পারে এই হরমোন। মাথা ঠান্ডা থাকে। তাই সারাদিনে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিট আপনি সূর্যের আলোয় দাঁড়ান। আশা করছি অনেক সমস্যার সহজ সমাধান করে ফেলতে পারবেন। এমনকী শরীরে বাড়বে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন খুব ভালো। তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই। দিনে কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুম তো খুবই দরকার। তবেই মানুষ সুস্থ থাকতে পারবেন। এবার থেকে এই অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারণ কম ঘুমালে মস্তিষ্ক নিজের কাজ ঠিকমতো করে উঠতে পারে না। এছাড়া ঘুমানোর তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে আপনি কফি খাবেন না। এতে ঘুম নষ্ট আসতে চায় না। এই নিয়ম মেনে চললে ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় জটিলতা বাড়তে থাকবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct