আপনজন ডেস্ক: শিলংয়ে মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল। এই ইস্তেহার পশ্চিমবাংালার বিধানসভা নির্বাচনের সময়কার ইস্তেহারের যেন প্রায় অবিকল। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যের ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য বাংলা মডেলকেই ঢাল করছে তৃণমূল। ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিধানসভা নির্বাচনে তারই ফল পেতে চায় তৃণমূল। মঙ্গলবার শিলংয়ে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের সময় দলের ‘মেঘালয়ের জন্য ১০টি অঙ্গীকারের’ কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতয়ি সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দশটি প্রতিশ্রুতরি মধ্যে রয়েছে, আগামী ৫ বছরে ৩ লক্ষ চাকরি, ২১-৪০ বছর বয়সী প্রত্যেক বেকার যুবককে মাসিক ১০০০ টাকা করে ভাতা, সকল কৃষককে বার্ষিক ১০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রভৃতি। অভিষেক বলেন, ‘এটি নিছক ১০টি প্রতিশ্রুতি সম্বলিত দলিল নয়। এই অঙ্গীকারগুলি আমরা করি এবং ক্ষমতায় আসার পরে আমাদের রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে তা বস্তাবয়িত করব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মেঘালয়ে সরকার গঠনের ১০০ দিনের মধ্যে তৃণমূল এই ১০টি প্রতিশ্রুতির প্রতিটি বাস্তবায়ন করবে। তৃণমূলের ইস্তেহারে অসম সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সীমান্ত সমঝোতা স্মারক বাতিল এবং সমস্ত কৌশলগত সীমান্ত এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপনের আশ্বাসও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, মেঘালয় মেঘালয়ের লোকেরা শাসন করবে। বিজেপির কি সাহস আছে এটা বলার যে, বাংলা শাসন করবে বাংলা? বিজেপি এসে বলতে পারবে কি মেঘালয় দিল্লি বা গুয়াহাটি থেকে নয়, গারো, খাসি এবং জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে শাসন করা হবে? তাহলে আমি প্রতিটি মেঘালয়বাসীর কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইব।মেঘালয়ের তৃণমূল বিধায়ক দলের নেতা মুকুল সাংমা দাবি করেন, এই ইস্তেহারটি সম্পূর্ণ বাস্তবসম্মত এবং অঙ্গীকারগুলি তৃণমূল থেকে বিস্তৃত যথাযথ পরিশ্রম এবং বিদ্যমান সমস্যাগুলি সমাধানের প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার তাদের অযোগ্যতার কারণে এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। মমতা ব্যানার্জি বাংলায় এই ধরনের অনেক প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন এবং মাঝে মাঝে তিনি প্রতিশ্রুতির চেয়েও বেশি কাজ করেছেন। আমরা যদি বাংলায় এটা করতে পারি, তবে নিশ্চিত থাকুন যে আমরা মেঘালয়েও একই কাজ করতে পারব।মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের এক লাখ ল্যাপটপ বিতরণ, প্রতিটি পরিবারের একজন মহিলাকে মাসিক এক হাজার টাকা সুনিশ্চিত ভাতা, হোমস্টে স্থাপন, পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থানীয় সম্প্রদায়কে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ, স্বতন্ত্র ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct