নিজস্ব প্রতিবেদক, বহরমপুর, আপনজন: তিন দিনের নেতাজি উৎসবে বহরমপুরে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কর্মশালা দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মবর্ষপূর্তি উপলক্ষে বহরমপুরের শহীদ ক্ষুদিরাম পাঠাগার হাতে নিয়েছে একাধিক কর্মসূচি। কিশোর মতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংস্কৃতি চেতনার উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় অগ্রসর করে তোলার লক্ষ্যে। ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি তিন দিনের এই নেতাজি উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ছিল বহরমপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির ওপর বিশেষ এক কর্মশালা। যার নাম দেওয়া হয়েছিল মোটিভেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সেশন। ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের জন্য কাউন্সেলিং সেশনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট মনোবিদ সঞ্জিত সেনগুপ্ত। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার আগে স্বাভাবিক টেনশনকে উপেক্ষা না করে তিনি এর যথাযথ মোকাবিলা করার উপায়গুলি ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জীবনের লক্ষ্য স্থির কর এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বৈজ্ঞানিক উপায়ে এগিয়ে যাও। নিজের মনোসংযোগ বাড়াও। সময় ধরে প্রতিটি কাজ করো। রিভিশনের পর রিভিশন করতে থাকো। দেখবে তোমাদের উত্তরপত্র হবে ঝকঝকে। আর এ ধরনের উত্তরপত্রই পছন্দ করেন মাননীয় পরীক্ষকেরা। মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেতে কী করবে আর কী করবে না এই দিক সামনে রেখে ইংরেজি এবং গণিতের উপর বিশদভাবে আলোচনা হয়। এ দিনের মোটিভেশনাল সেশনে ইংরেজি বিষয়ের উপর এই সেশন সঞ্চালনা করেন নবাব বাহাদুরস ইনস্টিটিউশন, মুর্শিদাবাদ এর প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলম এবং ঝুনকা হাই মাদ্রাসার শিক্ষক আলমগীর মুনির উদ্দিন খান। গণিত বিষয়ের উপর মোটিভেশনাল সেশন সঞ্চালনা করেন নারায়ন দাস বাঙ্গুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুলের বিশিষ্ট শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরখেল ও হরিনাভি ডি ভি এ এস হাইস্কুলের বিশিষ্ট শিক্ষক নায়ীমুল হক। এদিন মাধ্যমিকের সাতটি বিষয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ একটি এমসিকিউ ধরনের পরীক্ষার নেয়া হয় । এই পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত তিনজন ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষক শিব শংকর দত্ত। অনুষ্ঠানে অন্যান্য গুণীজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হরিশংকর দত্ত, দিব্যেন্দু রায়, শিব শঙ্কর সিংহ, সৌমেন দত্ত প্রমূখ। কলকাতার রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি অ্যান্ড ফ্রি রিডিং রুম এবং অনুসন্ধান কলকাতাকে এই কর্মশালার আয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য অভিনন্দন জানান শহীদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারের সম্পাদক নিলেন্দু শেখর সাহা। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে বর্ষিয়ান শিক্ষক- শিক্ষিকাদের ওই অভিবাদন জানান কলকাতা থেকে রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি অ্যান্ড ফ্রি রিডিং রুম-এর পক্ষে বিশিষ্ট চিকিৎসক ড.সুবীর গাঙ্গুলী এবং সুদূর নয়া দিল্লি থেকে অনুসন্ধান কলকাতার পক্ষে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান খান। বাবাকে নিতে। সাগরমেলার শেষেও সবাইকে বাড়ি ফেরাতে পেরে আমরাও খুব আনন্দিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct