নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: ধর্মতলা থেকে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। রবিবার তাঁদেরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে নওশাদ-সহ বাকি আইএসএফ নেতা কর্মীরা জামিনের আবেদন জানান। মামলার শুনানি শেষে বিচারক ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে রবিবার আদালত কক্ষে যখন বিচারপ্রক্রিয়া চলছিল, নওশাদ-সহ বাকি আইএসএফ নেতা কর্মীদের জামিনের দাবিতে ব্যাঙ্কশাল আদালতের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আইএসএফ কর্মীরা। ধৃতদের মধ্যে এক নাবালককে ২৪ জানুয়ারি জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে। আপাতত তাকে হোমে রাখা হবে।ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শনিবার ধর্মতলায় জমায়েতে যোগ দিয়ে সন্ধ্যায় ভাঙড় ফেরার পথে ৪৪ জন আইএসএফ কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করেছিল লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ধৃতদের রবিবার বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদেরকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য শনিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে জমায়েতের ডাক দিয়েছিল আইএসএফ নেতৃত্ব। ধর্মতলায় সেই জমায়েতে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ (ISF) কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষের জেরে ধর্মতলা চত্বর কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শনিবার বিকেলে। আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। বাঁশ, লাঠি নিয়ে পুলিশকে তাড়া করেন আইএসএফের কর্মীরা। পাল্টা পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠি চার্জ করা হয়। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, বিশ্বজিৎ মাইতি-সহ দলের বেশ ১৯ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সভা থেকে ফেরার পথে শনিবার সন্ধ্যার পর হাতিশালায় ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদেরকে রবিবার বারুইপুর আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারুইপুর আদালত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct