আজিজুর রহমান, গলসি: উড়ালপুলের দাবিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করল বিক্ষুব্ধ জনগণ। এদিন গলিগ্রামের গুসকরা মোড়ে রাস্তায় পাশে কাজ করা যন্ত্রাংশের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পরেন তারা। উড়ালপুলের দাবীতে প্রথম থেকেই আন্দোলন করছেন স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ ও চাষিরা। এদিনও বহু মানুষ এসে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষের আধিকারিকরা। তবে তাতে কোন লাভ হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। এদিনের ক্ষোভের জেরে সড়কে কাজ করা যন্ত্রাংশ উপরে উঠিয়ে নেয় ঠিকা সংস্থা। তবে বিষয়টি নিয়ে সড়ক কতৃপক্ষের বা ঠিকা সংস্থার কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। গ্রামবাসীদের দাবী, গলিগ্রাম, উচ্চগ্রাম, বনসুজাপুর সহ বেশকিছু স্কুল আছে এলাকায়। যেখানে শতশত ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে যায়। পাশে গলসিতে কলেজও আছে। তাছাড়াও নিত্যদিন চাষের যন্ত্রপাতি নিয়ে রাস্তা পেরিয়ে মাঠে যান দুই তিনটি গ্রামের চাষিরা। তারা জানাই, গলিগ্রাম গুসকরা মোড়টি এলাকার একটি জংশন। যেখানে একটি উড়ালপুল খুবই প্রয়োজন।
তাদের দাবি, এখানে প্রতিদিনই পথ দুর্ঘটনার কবলে পরেছেন স্থানীয়রা। বিগত দিনে বহু মানুষ পথ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল চ্যাটার্জ্জী, সমরেশ ঠাকুর, নিধুরাম ঘোষ, আক্কেল আলি, সুমন পাঁজা, বুদ্ধদেব রায়রা বলেন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বার বার জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। আগে আমাদের আন্দোলনের জেরে একবার আলোচনায় বসেন সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও লোকসভার সাংসদ সুনীল মন্ডল। তবে তারপরই থেকে আজ অবধি কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। তারা বলেন, প্রতিমাসে ২ নং জাতীয় সড়কের গলিগ্রাম গুসকরা মোড়ে পরাপার করতে গিয়ে দুই চারটি মানুষ মারা যাচ্ছেন। তাই মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে আজ কাজ বন্ধ করলাম। তবে এরপরই সড়ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে স্কুল পুড়ুয়াদের দিয়ে ২ নং জাতীয় সড়কের গলিগ্রাম গুসকরা মোড়টি অবরুদ্ধ করে দেব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct