আপনজন ডেস্ক: বাংলাদেশের 'সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।' কিন্তু লালমনিরহাটের একটি হোটেলের বাইরে বসে খেতে হচ্ছে হরিজন প্রজাতির মানুষদের। বিষয়টি মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছে কমিশন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আলিমের একটি ফেসবুক পোস্ট বিষয়টি ভাইরাল করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'এখনও হরিজনদের রেস্টুরেন্টের বাইরে বসে খেতে হয়।' জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, কমিশনের আদেশের কপি এখনও পাননি তিনি। পেলে দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। অধ্যাপক আব্দুল আলিম সমকালকে জানান, তীব্র শীতে হোটেলের পাশে খোলা আকাশের নিচে কৈলাস বাঁশপো তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে খাবার খাচ্ছেন। পত্রিকার কাগজের ওপর রুটি-ভাজি; সামনে ভাঙা গ্লাস। বিষয়টি তাঁকে নাড়া দিয়েছে। মর্মাহত হয়ে মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন বলে জানান তিনি। লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে শহর হওয়ায় বেশি হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। জেলার পাঁচ উপজেলায় এ সম্প্রদায়ের প্রায় ১২ হাজার মানুষ রয়েছেন। সমাজে তাঁরা নানা বৈষম্যের শিকার। লালমনিরহাট জেলা হরিজন বাঁশপো সম্প্রদায়ের সভাপতি শ্রী রংলাল বলেন, 'ভোট এলে নেতারা আমাদের সঙ্গে চা খান। ভোট গেলে গা ঘেঁষতেও দেন না। হোটেলে বসে খেতে দেন না। ভাঙা ও পরিত্যক্ত বাসনে খাবার দেওয়া হয়, তাও আবার উঁচু থেকে হোটেল কর্মীরা ঢেলে দেন। এটি অপমানজনক হলেও দীর্ঘদিনে সবাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct