সাইফুল লস্কর, বারুইপুর, আপনজন: বারুইপুর উত্তর খোদার বাজার মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বারুইপুর সুপারস্পেশালিটি হসপিটালের তত্ত্বাবধানে ও বারুইপুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচালনায় রক্তদান ও সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত রক্তদান অনুষ্ঠানে পঞ্চাশ জন রক্তদাতার মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ছিলো বেশি, সংবর্ধনা সভায় মোট সাত জনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত মহাকাশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. ফারুক রহমান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ড. মেহেদী কালাম, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বিশিষ্ট লেখিকা ও সমাজসেবী হাজিন উম্মে কুলসুম। এছাড়া চার জন ডাক্তারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তার হলেন, ডা. ইয়াসিন সেখ, ডায়মন্ডহারবার হসপিটাল, ডা. প্রকাশ দাস, ডেন্টাল সার্জেন্ট, ডা. শাহাজাদা মন্ডল, বারুইপুর হসপিটাল, ডা. মনিরুল শেখ, রায়দিঘি হসপিটাল। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশিষ্টঅতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়। প্রধান অতিথি ড. ফারুক রহমান বলেন, শিক্ষা আমাদের মেরুদণ্ড তাই শিক্ষা ছাড়া আমাদের এগিয়ে যাওয়ার বিকল্প পথ নেই। তিনি বক্তব্যের মধ্য থেকে কুরআন ও হাদিস কিছু কথা জনসমক্ষে তুলে ধরেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে শিক্ষা অর্জন করা জরুরি। এ নিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ পাক কুরআনের প্রথমে সেই কথাই লিখেছেন ইকরা, পড়, তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।
অধ্যাপক ফারুক বতর্মান সময়ে প্রতিবেশীর হকের কথা তুলে ধরেন। বুড়িমার ঘটনাকে তুলে ধরে তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূলের ভয়ে এক বুড়িমা পালানোর চেষ্টা করছিলেন। অথচ রাসূল সা. গিয়ে ওই বৃদ্ধ মহিলাকে সাহায্যের হাত বাড়ান। এই মহানুবতার আদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানান মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. ফারুক। এদিনের রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ৯৪ বছরের লেখিকা উম্মে কুলসুম, যিনি হাজী দাদি নামে পরিচিত খোদারবাজার জুড়ে। এছাড়া অালিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিদেশ থেকে বিভিন্ন উপাধি প্রাপ্ত ড. মেহেদী কালাম জানান, তার জীবনে বড় স্বপ্ন গরিব ও দুস্থ-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সেই ব্রত নিয়েই এই রক্তদান শিবির বলে তিনি জানান। রক্তদান শিবিরে হাজির হয়ে বারুইপুর থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায় বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে রক্তদানের মাধ্যমে সহমর্মিতার বার্তা দিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সহমর্মী’। তাই তিনি সংগঠনকে ভূয়সী প্রশংসা করেন।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডা: ইরফান মিস্ত্রি, জাতীয় শিক্ষক সম্মান প্রাপ্ত সৈয়দ আমানুল্লাহ, পুলিশ অফিসার আমানুল্লাহ,সমাজসেবী কুতুবুদ্দিন লস্কর, বারুইপুরের প্রাক্তন বিধায়ক কুমুদ রঞ্জন মণ্ডল, বারুইপুর বিশালক্ষ্মী মন্দিরের পূজারী পিগলু ভট্টাচার্য ও স্থানীয় বিভিন্ন গুণীজন ব্যক্তিরা। সহমর্মীর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন আখন সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সহমর্মী মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে এসেছে আগামী দিনেও থাকবে। আমাদের প্রত্যেকটি কর্মী একনিষ্ঠ তাই এত বৃহৎ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct