আপনজন ডেস্ক: হিন্দু ধর্মগ্রন্থ নিয়ে রামচরিতমানস নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছিলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর। সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হলেন অযোধ্যার সাধু পরমহংস আচার্য। পরমহংস আচার্য এবার সরাসরি হুমকি দিলেন, বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জিভ কেউ কেটে দিলে তাকে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে অযোধ্যার সাধু পরমহংস আচার্য সাফ জানিয়ে দিলেন, ক্ষমা চাইতে হবে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখরকে। শুধু তাই নয়, এই সাধু বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি তুললেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বরখাস্ত করতে হবে শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখরকে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার নালন্দা ওপেন ইউনিভার্সিটির পঞ্চদশ সমাবর্তনে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী ভাষণে বলেছিলেন, রামায়ণের উপর নির্ভর করে লেখা হিন্দু ধর্মগ্রন্থ রামচরিতমানসের মাধ্যমে সমাজে বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। তিনি তার সপক্ষে বলেন, কেন মনুস্মৃতি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে? কারণ একটি বড় অংশের বিরুদ্ধে অশালীন কথা বলা হয়েছে। কেন রামচরিতমানস আটকানো হয়েছিল? কোন অংশটা আটকানো হয়েছিল? নীচু জাতের মানুষরা শিক্ষার সুযোগ পেতেন না। রামচরিতমানসে বলা হয়েছে যে দুধ খেয়ে সাপ যেমন বিষধর হয়ে ওঠে, তেমনই নীচু জাতের মানুষরা শিক্ষা পেয়ে বিষধর হয়ে ওঠেন। এই সব তথ্যের জন্য মন্ত্রী চন্দ্রশেখর মন্তব্য করেছিলেন, রামচরিতমানসের মতো বইগুলি মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ায়। তার সে মন্তব্যের পরিপ্রেক্সিতে বৃহস্পতিবার অযোধ্যার সাধু পরমহংস আচার্য হুঁশিয়ারি দেন, রামচরিতমানস নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী, তা কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। রামচরিতমানস একটি বই, যা মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে না। বরং মানুষকে একসূত্রকে গেঁথে রাখে রামচরিতমানস। সেই বইয়ের মাধ্যমে মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটা ভারতীয় সংস্কৃতির উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এটা দেশের গর্ব। এ নিয়ে অযোধ্যার সাধু পরমহংস আচার্য বলেন, যে ব্যক্তি বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জিভ কেটে দিতে পারবেন, তাকে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করছি আমি। তবে, সাধুর এই ধরনের মন্তব্য প্রথম নয়। পাঠান সিনেমার জন্য পরমহংস আচার্য বলেছিলেন, আমরা শাহরুখ খানের পোস্টার পুড়িয়েছি। আমি খুঁজছি, যেদিন শাহরুখ খানকে পাওয়া যাবে, সেদিন ওই জিহাদিকে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলব। এ দিকে সাধুর এই পুরস্কার ঘোষণা নিয়ে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখর বলেন, নিয়ে রামচরিতমানসের সুন্দর কাণ্ড ও উত্তর কাণ্ডেরর পাঁচ থেকে ছয়টি ‘চাঁদ’ রয়েছে যা আপত্তিকর এবং এতে আমার আপত্তি রয়েছে। তাই আমি বলেছিলাম, এটা সমাজে ঘৃণা ছড়ায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct