নাজিম আক্তার, চাঁচল: আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল এই চার মাস পড়ুয়াদের মিড ডে মিল তালিকায় মুরগির মাংস ও মরশুমি ফল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেই তারিখ আসার আগেই স্কুলে মিড ডে মিলের চালের ড্রামে পাওয়া গেল মরা ইঁদুর ও টিকটিকি। ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বুধবার চাঁচল থানার সাহুর গাছি-
বিদ্যানন্দপুর প্রাইমারী স্কুলে।জানা যায়, এদিন স্থানীয় বাসিন্দা ও পড়ুয়ার অভিভাবকেরা মিড ডে মিলে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে।তারপরেই রান্না ঘর খতিয়ে দেখতে গিয়ে চালের ড্রামে মরা ইঁদুর ও টিকিটিকি দেখে চক্ষু চড়কগাছ অভিভাবকদের।এতেই তেতে উঠে অভিভাবকরা।স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।বাসিন্দাদের অভিযোগ,রুটিন অনুযায়ী পড়ুয়াদের খাবার দেওয়া হয় না।যা দেওয়া হয় তা খুব নিম্নমানের।যা খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার জানিয়ে হয়নি কোন সুরাহা বলে দাবি বাসিন্দাদের।এদিন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চাঁচল থানার পুলিশ।পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে খবর।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজিকুল ইসলামের অভিযোগ,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের জন্য স্কুলে পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে।মিডডে মিলে অনেক দিন ধরেই গরমিল চলছে।পাশাপাশি স্কুলে পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থা নেয়।পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে জলের বোতল নিয়ে আসতে হয়।এদিকে জলের অভাবে স্কুলের শৌচালয়টিও পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের পেছনে খোলা জায়গাতেই শৌচকর্ম সারে। প্রাইমারী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জল সাহা সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করে বলেন ‘মিড ডে মিল নিয়ম মেনেই খাবার দেওয়া হয়।’ চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় বলেন ‘বিডিওকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।পাশাপাশি নিম্নমানের অভিযোগ প্রমানিত হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ চাঁচল-২ ব্লকের বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস জানান, জলের জন্য শীঘ্রই ব্যবস্থা করা হবে। স্কিম ধরা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct