আপনজন ডেস্ক: ভারত জোড়ো যাত্রার পাঞ্জাব পর্ব শুরু করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুধবার বলেছেন, এ মুহূর্তের সবচেয়ে বড় সংকটগুলো তুলে ধরে দেশবাসীকে সজাগ, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ করে তোলা ভারত জোড়ো যাত্রার উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ জেরবার। বেকারত্বের জ্বালা ঘরে ঘরে। সেসবের উপশম না করে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘৃণা, হিংসা ও বিভেদের রাজনীতি।পাঞ্জাব প্রবেশের পর মঙ্গলবার রাহুল যান অমৃতসর স্বর্ণমন্দিরে। পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট। মাথায় গেরুয়া পাগড়ি।
বুধবার যাত্রা শুরু আগে তিনি যান ফতেগড় সাহিব গুরুদ্বার ও হজরত সৈফুদ্দিন ফারুকি রউজা শরিফে। প্রার্থনা সেরে এক জনসভায় ভাষণ দিয়ে শুরু করেন পদযাত্রা। তাঁর যাত্রাসঙ্গী হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং, বিধানসভার বিরোধী নেতা প্রতাপ সিং বাজোয়া, রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি ও রউজা শরিফের কর্তারা। রাহুল তাঁর ভাষণে বলেন, ‘এ যাত্রা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমি সবার সঙ্গে কথা বলছি। শ্রমিক, কৃষক, দোকানদার, বেকার যুবক-যুবতী। প্রত্যেকের সমস্যা ও চাহিদার কথা শুনছি। এ যাত্রা শুধু শুনে যাওয়ার। ভাষণ দেওয়ার নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সকাল ছয়টায় উঠে পড়ি। দৈনিক ২৫ কিলোমিটার হাঁটি। ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা মানুষের কথা শুনি। তারপর নিজেদের যা বলার, তা বলি ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে।’ ভারত জোড়ো যাত্রা পাঞ্জাবে থাকবে মোট ৯ দিন। ১৯ তারিখে এ যাত্রা পৌঁছাবে জম্মুর সীমান্তবর্তী পাঞ্জাবের শহর পাঠানকোটে। সেখানে রাহুল এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। পরদিন থেকে শুরু হবে যাত্রার জম্মু-কাশ্মীর পর্ব। ৩০ জানুয়ারি জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু দিবসের দিন শ্রীনগরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সাড়ে চার মাসের ভারত জোড়ো যাত্রা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct