নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: ব্রেন স্ট্রোক হয়ে পরলোকগমন করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার স্বনামধন্য চিকিৎসক আদিল হোসেন (৪৮)। (ইন্ন লিল্লাহি...)। পরলোকগত চিকিৎসকেরবাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাররা গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে মালদা এক বেসরকারি নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে খবর। তাঁর অকাল মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার সহ আত্মীয় স্বজনেরা। জানা যায়, চিকিৎসক আদিল বাবু মালদায় দুইটি নার্সিংহোম পার্টনারশিপে চালাতেন। তিনি আবার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রবিবার মালদায় নিজ নার্সিংহোমের অপারেশন থিয়েটারে এক রুগীর অস্ত্রোপাচার দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ তার একটি হাত নিথর হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে ভর্তি করানো হয় নিজ নার্সিংহোমে। বেগতিক অবস্থা দেখে ডাক্তারবাবুরা মালদাতেই অন্য এক নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। সোমবার রাতে সেখানে তাঁর অপারেশন হয়।মঙ্গলবার সকাল হতেই তিনি আর সূর্যোদয় দেখতি পাননি। নার্সিংহোমে ই সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছাতেই মালদা জেলার দূর দূরান্ত থেকে অটো ও টোটোতে চেপে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন।তাঁর জানাজায় প্রায় ১০ হাজার লোক সামিল হয় বলে খবর।পরিবার সূত্রে জানা যায়,পিতা সাত্তার হোসেনের চার ছেলে ও দুই মেয়ে। আদিল ছিলেন বড় ছেলে। পিতা সাত্তার বাবু (৮০) আবার একজন অবসর প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা বয়স্ক গৃহকর্ত্রী।
আদিল বাবুর পরিবারে রয়েছে স্ত্রী সহ দুই নাবালিকা কন্যা। তিনি মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চেম্বার করতেন। গ্রামের মানুষকে পরিসেবা দেওয়ার জন্য নিজ বাসভবনেও চেম্বার করে দীর্ঘ বছর ধরে স্বল্পমূল্যে পরিসেবা দিয়ে গেছেন। মানুষের প্রতি তাঁর স্নেহ মায়া মমতা ও ভালোবাসা দেখে এলাকার মানুষ তাঁকে আবুল কালাম আজাদ বলে শ্রদ্ধা করতেন। এলাকার হতদরিদ্র পরিবারগুলির কাছ থেকে তিনি কোনো ফি নিতেন না।এই ধরনের ডাক্তার বাবুকে হাতের কাছে পেয়ে এলাকার মানুষজন গর্ববোধ করতেন।সেই দরিদ্র পরিবার গুলোর পাশে এবার কে দাঁড়াবেন সেই চিন্তায় ভেঙে পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct