নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর ও তিলডাঙ্গি এলাকার কয়েকটি হলুদ গুঁড়ো তৈরি মিলে হানা দেয় খাদ্য সুরক্ষা ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের হানা দেওয়ার খবর আগেভাগে জানতে পেরেই অনেক মিল মালিক তালা বন্ধ করে পালিয়ে যায় বলে খবর। তবে তিনটি মিলে হানা দিয়ে উদ্ধার হয় বাসন্তী রং ও কিছু রাসায়নিক দ্রব্য। উল্লেখ্য,কয়েক বছর আগে ওই মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ধানের তুষ,কাঠের গুঁড়ো ও চালের গুঁড়োর সঙ্গে রাসায়নিক রং মিশিয়ে হলুদের গুঁড়ো বানানোর অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,রামপুর এলাকার হলুদ ব্যবসায়ী তথা মিল মালিক রাজু সাহা ও নারদ সাহা সহ বেশ কয়েকজন রামপুর ও তিলডাঙ্গি এলাকায় বছর দশেক ধরে মিল চালাচ্ছে।জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে ওই মিলগুলিতে ধান,গম,জিরে,ধনে, হলুদ পেষাই হত।
তবে গ্রামবাসিরা প্রায় দেখতো রাতের অন্ধকারে গাড়িতে করে ধানের তুষ,চালের গুঁড়ো ও রাসায়নিক রং নিয়ে আসত তারা।অনেক রাত পর্যন্ত মিলগুলি খোলা থাকত।ধান-গম ভাঙানোর ব্যবসার আড়ালে ধানের তুষ,কাঠের গুঁড়ো ও চালের গুঁড়ো ভালো ভাবে মিশিয়ে তারপর বাসন্তী রং দিয়ে হলুদ তৈরি করা হত। শুকনো লঙ্কা গুঁড়োর সঙ্গে মেশানো হত ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন ওই মিলগুলোতে হানা দেয় খাদ্য সুরক্ষা ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।মিল থেকে কর্মচারীরা পালিয়ে গেলেও বাসন্তী রং ও রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে খবর।উদ্ধার হওয়া উপকরণের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানান খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকগণ। চাঁচল মহকুমার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক রাহুল মন্ডল বলেন,’ভেজাল হলুদে কিডনি,লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ছোটদের স্নায়ুরোগও হতে পারে।’ আমাদের কাছে খবর ছিল।পরিকল্পনা মাফিক আমরা পুলিশ এবং ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরকে নিয়ে অভিযান চালিয়েছি।তিনটি হলুদের কারখানাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct