আজিম শেখ, রামপুরহাট, আপনজন: বীরভূম জেলার রামপুরহাট ১নং ব্লকের মাশরা পঞ্চায়েতের সেনবাঁধা গ্রামে পৌঁছালেন মাশরা আদিবাসী ফার্মার্স প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেড। তারা সরাসরি চাষির বাড়ি থেকে সরকারি দামে ধান ক্রয় করে চাষিকে ন্যায্য দাম পাওয়েও দিচ্ছেন। ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানির ডাইরেক্টর লক্ষ্মীনারায়ণ রায় বলেন, এলাকায় এই বছর ধান চাষ খুব ভালো হয়নি। কিন্তু কিছু পুকুর বা ক্যানেলর জলে চাষ হয়েছে। সেই ধান আমরা চাষির বাড়ি থেকে কিনে নিচ্ছি। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে ধান বিক্রয় করলে চাষিরা লাভবান হবেন । তার জন্য কিছু জিনিস জানা প্রয়োজন আছে যেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বছর ধান কিনতে শুরু করেছেন। তিনি জানান, এই ২০২২-২৩ খরিফ মরশুমে, ১লা নভেম্বর, ২০২২ থেকে সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছে। রাজ্যের সব কটি ব্লকে,যেখানে ধান হয়, সেখানে স্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলি খোলা আছে। এছাড়াও বিভিন্ন কৃষি সমবায় সমিতি বা স্বনির্ভরগোষ্ঠীগুলির সঙ্ঘ বা মহাসঙ্ঘ/ কৃষি উৎপাদক সংস্থা বা কৃষি উৎপাদক কোম্পানি গুলি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আগাম নোটিশ দিয়ে ক্যাম্পের মাধ্যমে এই ধান কিনতে শুরু করেছে। ক্রয় কেন্দ্র গুলিতে সরকারী ছুটির দিন বাদে প্রত্যহ সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ধান কেনা হয়। এই ধান কেনা চলে সারা বছর ধরেই। খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের পোর্টালে বা খাদ্যসাথী আমার রেশন অ্যাপের মাধ্যমে আপনার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার আর মোবাইল নম্বরে যাওয়া ওটিপি ভ্যালিডেশানের মাধ্যমে জেলার কোনো ধান ক্রয় কেন্দ্রে প্রাপ্যতা সাপেক্ষে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে যে কোনোদিন একটি স্লট বেছে নিতে পারবেন বলে জানান লক্ষ্মীনারায়ণ রায়। একজন কৃষক ৪৫ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রয় করতে পারবেন। কিন্তু একসঙ্গে ১০ কুইন্টালের বেশি নয়। এই ধান দফাই দফায় বিক্রি করতে পারবেন।যদি আপনি নির্ধারিত দিনে ধান দিতে ব্যর্থ হন, আবার সময়সূচী ঠিক করতে পারেন পূর্ববর্তী সময়সূচীর তারিখের ৭ দিন পর। যদি প্রয়োজন হয়, নির্ধারিত দিনের কম পক্ষে তিন দিন আগে আপনার সময়সূচী পরিবর্তনও করতে পারেন। শুধু মাত্র খরিফ মরসুমে। আমরা চাই প্রতিটি কৃষক ন্যায্য দাম পাক এবং রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে ধান বিক্রয় করুক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct